ঈদো মাত্র বাঁকী ৩দিন। পরিবারের প্রিয়জনের সাথে ঈদের খুশি ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে স্বস্তিতে গ্রামে ফিরছেন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। ঘরমুখো এ সকল মানুষের পদচারনায় মুখোরিত দৌলতদিয়া ঘাট। এরমধ্যেই বেশীর ভাগ কোরবানির পশুবাহি ট্রাক ভোগান্তি ছাড়া দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট ব্যবহার করে চলে গেছে গন্তব্যে। এতেকরে কোন রকম দূর্ভোগ ছাড়াই ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ। বুধবার সরেজমিন দৌলতদিয়া ঘাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

ফেরিতে যাত্রীবাহী পরিবহনের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক মোটর সাইকেল পারাপার হচ্ছে। প্রায় প্রতিটি মোটরসাইকেলে ঝুকি নিয়ে নারী ও শিশুসহ মালামাল বহন করছে মোটরসাইকেল চালকরা। এছাড়া সময় যত বাড়বে ততই ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ বাড়ছে দৌলতদিয়া ঘাটে। তবে যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই গন্তব্যে যাচ্ছেন। এদিকে স্রোতের কারণে কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের ফেরি চলাচল। বর্তমানে এরুটে ১৮টি ফেরি চলাচল করছে।

যাত্রীরা আনন্দেও সাথে জানান, স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ঈদে ভোগান্তি ছাড়া এবারই প্রথম তারা বাড়ী ফিরছেন। তাছাড়া বাড়তি কোন ভাড়াও দিতে হয় নাই। ফলে এবারের ঈদে আনন্দ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এ রকম ভোগান্তিহীন পথ থাকলে আমরা যে কোন সময় থেকে ইচ্ছে মতো যে কোন আনন্দ উপভোগ করতে পারবো।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, বুধবার ভোর ৬ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ৭৩০টি যানবাহন দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবহার করে নদী পার হয়েছে।

যাযাদি/এস