কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পিকাপ চালক মিনারুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডে জড়িত তুফান হোসেন(২০) নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১২ আগস্ট) রাতে ভেড়ামারা উপজেলা এলাকা তাকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার দুপুরে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেসবিফিং এর মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম।
পুলিশ সুপার আরও জানান, পিকাপ ছিনতাইয়ের জন্যই প‚র্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়। গ্রেপ্তারকৃত তুফানকে জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য জানতে পারি। আসামিরা পিকাপ চালক মিনারুল ইসলামের গলায় গামছা পিছিয়ে মুখে এবং পায়ে কষ্টে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে একই পিকআপে তার মরদেহটি ভেড়ামারা থানাধীন চরগোপালনগর গ্রামের মনিপার্কের পাশে শ্মশান ঘাট সংলগ্ন পদ্মা নদীর কিনারে পানিতে মরদেহটি ফেলে দিয়ে পিকআপ নিয়ে চলে যায়। এ হত্যাকান্ডে তিনজন জড়িত।
তাদের গ্রেফতার করতে পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই তাদেরও গ্রেফতার করা হবে। উল্লেখ্য, বুধবার (১০ আগস্ট ) সকালে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার শ্মশান ঘাট সংলগ্ন পদ্মা নদীতে পানিতে ভাসমান অবস্থায় পিকাপ চালক মিনারুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।এঘটনায় থানায় মিনারুল ইসলামের স্ত্রী রোজিনা খাতুন ভেড়ামারা থানায় বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
নিহত মিনারুল যশোর জেলার কোতোয়ালি থানার নীলগঞ্জ তাতিপাড়া গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন পিকাপ চালক ছিলেন।
যাযাদি/ এসএইচ