শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কেরানীগঞ্জে আলোচিত হত্যার মামলার পলাতক আসামি ঢাকায় আটক

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
  ২৮ মে ২০২৩, ২১:১৫

চাঞ্চল্যকর ও বহুল আলোচিত ঢাকার কেরানীগঞ্জে বীরমুক্তিযোদ্ধা ও ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুল্লাহ চৌধুরীকে নৃশংসভাবে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেয়ার মূল পরিকল্পনাকারী দীর্ঘদিন পলাতক মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী তানু’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

রবিবার (২৮মে) বিকালে উপজেলার রাজেন্দ্রপুরে র‍্যাব-১০'র সদর দপ্তরে এক প্রেসব্রিফিংয়ে এতথ্য নিশ্চিত করেন র‍্যাব-১০'র অধিনায়ক এডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন।

তিনি জানান, গত ২০১৩ সালের ১০ ডিসেম্বর কোন্ডা ১০ শয্যা হাসপাতালের ভিতর আতিকুল্লাহ চৌধুরীকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। ১২ ডিসেম্বর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় গ্রেফতারকৃত তানু সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়।

উক্ত ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা তদন্ত শেষে পুলিশ গুলজার ও তানুসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করে। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে বিজ্ঞ আদালত সাক্ষীদের সাক্ষ্য প্রমানে আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হয়। এবং গত ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আসামি তাজুল ইসলাম তানু, গুলজার, মো. জাহাঙ্গীর ওরফে জাহাঙ্গীর খাঁ, আহসানুল কবির ইমন, রফিকুল ইসলাম আমিন ওরফে টুন্ডা আমিন, শিহাব আহমেদ শিবু, মো. আসিফ’দেরকে উক্ত আতিক উল্লাহ চৌধুরী হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করেন।

আসামী তাজুল ইসলাম তানু, রফিকুল ইসলাম আমিন ওরফে টুন্ডা আমিন, শিহাব আহমেদ শিবু, মো. আসিফ পলাতক থাকায় বিজ্ঞ আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ইস্যু করেন। ইতিপূর্বে অন্যান্য আসামীরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হলেও উক্ত মামলার মূল পরিকল্পনাকারী তাজুল ইসলাম তানু আত্মগোপন করেন।

এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার (২৮ মে) র‌্যাব-১০'র একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সকালে পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে দীর্ঘদিন পলাতক মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামি তাজুল ইসলাম তানু(৩৫)’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি উক্ত ঘটনার সাথে তার সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। সে আরও জানান, কেরানীগঞ্জ উপজেলার কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিক উল্লাহ চৌধুরীর সাথে নির্বাচনের প্রার্থীতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ নিয়ে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত অপর আসামী গুলজারের সাথে বিরোধ চলছিল। এই শত্রুতার জের ধরে সে নিজে ও গুলজারসহ অন্যান্য আসামিরা মিলে শম্পা নামে এক নারীর মাধ্যমে আতিকুল্লাহ চৌধুরীকে হাসপাতালে ডেকে আনে। পরে রাতের আঁধারে পেট্রোল দিয়ে আতিকুল্লাহ চৌধুরীকে পুড়িয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে