দেশের সর্ববৃহৎ সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তা সোলার প্লান্টের উদ্বোধন করলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দেয়ার আগে সার্কিট হাউজে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি। এছাড়াও আরও ২৬ টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন একইসাথে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে প্রায় ১ হাজার ২৪০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা আছে। তিস্তা সোলার প্লান্টের উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে খুলে গেলো উত্তরের সম্ভাবনার দুয়ার। জাতীয় গ্রীডে এখান থেকে এখন আরও ২০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ যোগ হবে।
রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় তিস্তা সোলার লিমিটেড এর উদ্বোধন করা হয়েছে বিষয়টি নিশ্চিত করে সোলার প্লান্টের ম্যানেজার সাজিদ জাকির বলেন, 'তিস্তা সোলার প্লান্ট থেকে বছরে ৩০০ কোটি টাকা মুল্যমানের ২০০ মেগাওয়াট আওয়ার বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। এতে জ্বালানী যেমন বাঁচবে, তেমনি বাঁচবে পরিবেশও। এই প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ফলে গাইবান্ধা-রংপুরসহ উত্তরের আট জেলায় বিদ্যুতের লোডশেডিং যেমন কমবে তেমনি গতি ফিরে আসবে শিল্প কারখানায়।'
তিনি আরও বলেন, 'বিশেষ পদ্ধতিতে ৫ লাখ ২০ হাজার সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে এখানে। সরাসরি সূর্যের আলো থেকে তৈরি হবে বিদ্যুৎ। যেখান থেকে ১৬টি ইনভার্টার স্টেশন হয়ে মেইন কন্ট্রোল বিল্ডিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ চলে যাবে জাতীয় গ্রীডে।'
তথ্যে জানা যায়, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের লাটশালা ও চর গোর্দা এলাকায় গড়ে উঠেছে এ প্রকল্প। তিস্তা নদীর পাড়ে দেশের সর্ববৃহৎ এই সোলার প্লান্ট নির্মানে বন্যা-ভাঙনের মতো প্রাকৃতিক দূর্যোগ মাথায় রেখে নির্মাণ করা হয়েছে বাঁধও। প্রকল্পের অভ্যন্তরে মাটির নীচ দিয়ে সাড়ে ৫ কিলোমিটার কেবল স্থাপনের পাশাপাশি সুন্দরগঞ্জের তিস্তা পাড় থেকে রংপুর পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়েছে ৩৫ কিলোমিটার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন। ৬৫০ একর জায়গা জুড়ে ২শ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন তিস্তা সোলার প্লান্ট বাস্তবায়ন করেছে বেক্সিমকো লিমিটেড। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা।