বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামরুল হাসান গত ২৩ সেপ্টেম্বর বারহাট্টা থানায় যোগদান করেন। এই ৯ মাসের মধ্যেই গত ১৮ মে প্রথমবার নেত্রকোনা জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হন তিনি। জেলায় শ্রেষ্ঠ হওয়ার ৬ দিন পর ২৪ মে ময়মনসিংহ রেঞ্জের মধ্যেও শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হয়েছেন।
রেঞ্জ ও জেলায় শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার হিসেবে তার হাতে ক্রেস্ট ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ আতাউল কিবরিয়া বিপিএম-পিপিএম (বার) এবং নেত্রকোনা জেলা পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ বিপিএম (বার)।
২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার, মাদকদ্রব্য উদ্ধার, আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, মামালা নিষ্পত্তিসহ বারহাটা থানার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ অবদান রাখায় তিনি এই সম্মাননা অর্জন করেছেন। এছাড়া তিনি জননিরাপত্তা বিধান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখায় প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
মোঃ কামরুল হাসান একজন ব্যতিক্রমধর্মী মিষ্টভাষী অফিসার ইনচার্জ। প্রতিনিয়ত তিনি কর্মক্ষেত্রে তার অধিনস্থ সহকর্মী ও সাধারণ জনগণের আদর্শগত ভিন্নতা মেনে নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন জনগণ ও দেশের কল্যাণে। ‘পুলিশ জনগণের বন্ধু’ এই মন্ত্রকে বুকে ধারণ করে তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আধুনিকতা, প্রযুক্তি এবং মেধার দক্ষতা দিয়ে অপরাধ দমনের চেষ্টা করেন দেশের কল্যাণে। ‘পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ’ স্লোগানকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন তার প্রতিটি কর্মে।
একজন নেতা যেমন কর্মীদের অনুপ্রেরণা দিয়ে নেতৃত্ব প্রদান করে সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যান, একজন কোচ যেভাবে কনফিডেন্স লেভেল তৈরি করে শিষ্যের কাছ থেকে সেরাটুকু বের করে নিয়ে আনেন, একই ভাবে ওসি মোঃ কামরুল হাসান তার অফিসারদের কনফিডেন্স লেভেল তৈরি করে কাজ করিয়ে নেন এমনটাই দাবী বারহাট্টা থানায় কর্মরত উনার সহকর্মীদের।
জেলা ও রেঞ্জে সেরা ওসি হওয়ার অনুভূতি জানতে চাইলে বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ কামরুল হাসান বলেন, আইনের সেবক হয়ে জনতার সারিতে থেকে সাধারণ মানুষের সেবা করে যাব। প্রতিটি মানুষ আমাকে খুব কাছ থেকে পাবে এবং তাদের সমস্যার কথাগুলো বলতে পারবে, ঠিক তেমনিভাবে আমি বারহাট্টা উপজেলাবাসীর জন্য কাজ করব। কে গরিব, লুঙ্গি পরা, কৃষক, কে ধনী আমার কোনো সহায়তার কমতি না থাকে। সবাই আমার কাছে সমান অধিকারী মানুষ।
তিনি আরো বলেন, জনগণের সেবা দেওয়া আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমি সেই দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করি। এ ধরনের পুরস্কারে কাজের প্রতি স্পৃহা আরও কয়েকগুনে বেড়ে যায়। সেজন্য আমি ধন্যবাদ জানাই আমার শ্রদ্ধাভাজন অভিভাবক ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি স্যার, জেলা পুলিশ সুপার স্যার এবং থানা কর্মরত সকল পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠাতেই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।সকলের ভালবাসা নিয়ে নব উদ্যমে আরও ভাল কাজ করে পুলিশ ডিপার্টমেন্টের ভাবমূর্তি উজ¦ল করতে দোয়া এবং আগামীতে এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।