২০১৩ সালে সহিংসতাকালীন সময়ে সন্ত্রাসীদের নির্মম ও নারকীয় হত্যাযজ্ঞের শিকার হন দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক আবু রায়হান। আজ তার ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী।
মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির রায় ঘোষনার পর সরকার বিরোধী আন্দোলনের নামে সারা দেশের মতো সাতক্ষীরার দেবহাটাতেও নারকীয় তান্ডব চালায় বিএনপি ও জামায়ত-শিবিরের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।
২০১৩ সালের ২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় পারুলিয়া বাস স্ট্যান্ডে (বর্তমান শহিদ আবু রায়হান চত্বর) উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে অবস্থানকালে অতর্কিত হামলা চালিয়ে সেসময়ের প্রভাবশালী নেতা আবু রায়হানকে প্রকাশ্যে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যাযজ্ঞের ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আজও নৃশংস এ হত্যাকান্ডের মুল মোটিভ, পরিকল্পনাকারি ও সরাসরি কিলিং মিশনে অংশ নেয়া সন্ত্রাসীদের সম্পর্কে সুনির্দ্দিষ্ট কোন ক্লু উদঘাটন করতে পারেনি বলে দাবি নিহত আবু রায়হানের পরিবারের।
নিহতের পরিবারের দাবি, হত্যাকান্ডের একদিন পর আবু রায়হানের মা জাহানারা বেগম বাদী হয়ে দেবহাটা থানায় পেনাল কোডের ৩০২/৩৪ ধারায় একটি হত্যা মামলা (নং-০৫) দায়ের করেন।
গেল কয়েক বছরে এক অফিসারের হাত থেকে অন্য অফিসারের হাতে বারবার হাতবদল হয়েছে আবু রায়হান হত্যা মামলার তদন্তের ফাইল। সর্বশেষ ২০১৭ সালের শেষের দিকে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলাটির তদন্ত শেষ হয়েছে দাবি করে প্রায় এক’শ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। তারপর থেকে আদালতে চলছে এ মামলার বিচার কার্যক্রম।
পুন:তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের রহস্যভেদ করে প্রকৃত অপরাধিদের দৃষ্টান্তমুলোক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন আবু রায়হানের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা তন্ময়সহ পরিবারের সদস্যরা।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নেতা আবু রায়হানকে রাজনীতির জন্য জীবন দিতে হলো, সেই আত্মত্যাগী নেতার কথা এখন হয়তো মনেও করেননা ক্ষমতাসীন দলের অনেক শীর্ষ নেতারা। এমনকি তার মৃত্যুবার্ষিকী পালনে তেমন কোন উদ্যোগ নিতেও দেখা যায়না উপজেলা আওয়ামী লীগকে।
তবে এ দিনটিতে সহিংসতাকালীন নিহত আওয়ামী লীগ নেতা আবু রায়হান, আব্দুল আজিজ ও আলমগীর হোসেন বাকুমের আত্মার মাগফেরাত কামনায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিজ বাড়িতে দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান মনি।
যাযাদি/ এস