শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

শেরপুর-৩ আসনে, নির্বাচনী আচরণবিধি লংঙ্গন দুই প্রার্থীকে শোকজ

শেরপুর প্রতিনিধি
  ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:২৪
শেরপুর-৩ আসনে, নির্বাচনী আচরণবিধি লংঙ্গন দুই প্রার্থীকে শোকজ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনের ২ প্রার্থীকে শোকজ করা হয়েছে। তারা হচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এডিএম শহিদুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সদ্য পদত্যাগী উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম।

৪ ডিসেম্বর সোমবার বিকেলে ওই ২ প্রার্থীকে লিখিতভাবে শোকজ করেন ওই নির্বাচনী এলাকার অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়র সহকারী জজ নুরুল আমিন ভূইয়া।

নোটিশে ৬ ডিসেম্বর বিকেল ৩ ঘটিকার মধ্যে প্রার্থীদ্বয় কে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করে ওই অনুসন্ধান কমিটির বেঞ্চ সহকারী আবু বকর সিদ্দিক জানান, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা ২০০৮ এর ৬ (ঘ), ৮ (ক) ও ১২ ধারার বিধানসমূহ লঙ্ঘনের অভিযোগে ওই ২ প্রার্থীর প্রতি শোকজের নোটিশ ইতোমধ্যে প্রার্থীদের স্ব-স্ব থানায় (শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী) পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে অনুসন্ধান কমিটির শোকজ নোটিশ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল আলম ভুইয়া ও শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্র্মকর্তা কাইয়ুম খান সিদ্দিকী।

এদিকে শোকজের বিষয়ে অবগত নন বলে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এডিএম শহিদুল ইসলাম বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোন ঘটনা আমার দ্বারা হয়নি। আমি নোটিশ পেলে জবাব দেব। আওয়ামীলীগের সভাপতি সদ্য পদত্যাগী উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম।

সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।

নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি সূত্র জানায়, ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের পরবর্তীতে শেরপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এডিএম শহিদুল ইসলাম ঝিনাইগাতী বাজারে শোডাউন করাসহ প্রচারণায় ও সংবর্ধনায় অংশগ্রহণ করেন। এতে জনগণের চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। এছাড়া একইদিন স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম ঝিনাইগাতী বাজারে শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে শোডাউন করাসহ প্রচারণায় ও সংবর্ধনায় অংশ নেন। ওইসব শোডাউন ও প্রচারণার ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির দৃষ্টিগোচর হয়। এ প্রেক্ষিতে ৩ ডিসেম্বর অনুসন্ধান কমিটি সরেজমিনে তদন্ত করে উভয় ঘটনার সত্যতা পায়।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে