কক্সবাজারের চকরিয়ায় লাঠির আঘাতে মোহাম্মদ আলী নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রোয়ারি) তার কন্যা কাজল বেগম বাদী হয়ে রুহুল কাদের ও তার স্ত্রী বিয়াশা বেগমকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। এর আগে আটক রুহুল কাদেরকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। রুহুল কাদের ওই এলাকার মো. ওবাইদুল্লাহর ছেলে।

বুধবার দুপুরে উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে।

নিহত মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী শামশুন্নাহার বেগম বলেন, এক নারীর কাছ থেকে আমি টাকা পাই। বাড়ির অদূরে রাস্তার উপর টাকার বিষয়ে তার সাথে কথা বলছিলাম। এক পর্যায়ে কথাকাটাকাটি হয়।

পোরশায় অভ্যন্তরীন বোরো ধান ও চাল সংগ্রহের উদ্বোধন

এসময় রুহুল কাদেরও তার স্ত্রী বিয়াশা বেগম ক্ষেত থেকে উঠে এসে অতর্কিত আমার স্বামী মোহাম্মদ আলীকে হাতে থাকা লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে গেলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে রুহুল কাদেরের ছোট ভাই মাওলানা নুরুচ্চফা দাবী করেন, আমার বড় ভাইয়ের সাথে মোহাম্মদ আলীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। তারা একসাথে মসজিদে নামাজে যেত। অবসর সময়ে বসে গল্পগুজব করত। কোন বিরোধ ছিল না।

মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী শামসুন্নাহার রাস্তায় পাওনা টাকার বিষয়ে এক নারীকে হেনস্তা করতে দেখে ক্ষেত থেকে গিয়ে বারণ করে রুহুল কাদের। এসময় মোহাম্মদ আলী এগিয়ে গিয়ে বিষয়টি জানতে চায়। পরে নামাজের সময় হওয়ায় ঘরে গিয়ে অজু করে মসজিদে যাওয়ার প্রাক্কালে অসুস্থ হয়ে পড়ে মোহাম্মদ আলী।

স্থানীয়া লোকজন জানায়, দুইজনই ভাল লোক ছিল। কিন্তু কি কারণে এ ধরণের একটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটল তা বোধগম্য নয়।

চকরিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, স্বামী-স্ত্রী দুইজনকে আসামী করে মামলা রুজু হয়েছে। ওই মামলায় রুহুল কাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

যাযাদি/ এম