সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে অপহরণ নাটক, আত্মগোপনে থাকা যুবক গ্রেপ্তার

স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী
  ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৩

আত্মগোপনে গিয়ে অপহরণের নাটক সাজিয়ে প্রতারণার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গ্রেপ্তারক শেরআলী (৩২) জেলার কবিরহাট উপজেলার নলুয়া গ্রামের সামছুদ্দিনের ছেলে।

রোববার রাতে কক্সবাজার পৌর বাস টার্মিনালের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তারের পর বিকেলে নোয়াখালীর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, নোয়াখালীর হাতিয়া বাজার এলাকার মোবারকের সাথে চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালানোর সুবাদে শের আলীর ওস্তাদ সাগরেদ সম্পর্ক গড়ে উঠে। ২০২২ সালের ২২ জুলাই মোবারক মোটরসাইকেল ক্রয় করতে শের আলীকে নিয়ে চট্টগ্রামের মৌলভী বাজারে একটি শোরুমে যান। মোবারক লুঙ্গি পরে যান এবং শেরআলী প্যান্ট পরে যাওয়ায় মোবারক মোটরসাইকেল কেনার এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা ও ১টি এন্ড্রয়েট মোবাইল সেট তার কাছে রাখতে দেন। শো-রুমে ঢুকে মোটরসাইকেল দরদামের পর রেজিস্ট্রেশনের জন্য ছবি ও ভোটার আইডিকার্ড প্রিন্ট করতে মোবারক পাশের দোকানে গেলে শেরআলী টাকা ও মোবাইল সেট নিয়ে পালিয়ে যান। এরপর ২০২২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মোবারক ও তার বন্ধু ইউসুফ নিজ নলুয়া জনতা বাজারে স্থানীয় লোকজনকে বিষয়টি জানালে এনিয়ে সালিশ হয়। সালিশে বিষয়টি অমীমাংসিত থাকায় স্থানীয় লোকজন সমাধানের জন্য হাতিয়ার হরণী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের শরণাপন্ন হন। একই দিন মোবারক ও শেরআলী হরণী ইউনিয়নের বয়ারচর বাজারে যান। সেখানে মোবারক শেরআলীকে দোতলা বিল্ডিংঘরে রেখে চেয়ারম্যানকে আনতে গেলে এই সুযোগে শেরআলী পালিয়ে যান।

পরবর্তীতে তার চাচা দেলোয়ার হোসেন বিটু শেরআলী ও তার ছেলে মারুফ অপহরণ হয়েছে অভিযোগে তার সাথে জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধ থাকা শামছুল হক মাঝিসহ এলাকার আরো ৯ জন সহ মোবারক ও তার বন্ধু ইউসুফের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ১২ জুলাই আদালতে অপহরণ মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে কবিরহাট থানায় উক্ত বিষয়ে নিয়মিত মামলা রুজু হয়। মামলাটি রুজু হওয়ার পর কবিরহাট থানা পুলিশ তদন্ত করে। পরবর্তীতে মামলার তদন্তভার ডিবি পুলিশে ন্যস্ত হয়।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, কথিত ভিকটিম শের আলী পেশায় একজন ড্রাইভার। সে খুবই চুতর ও ধূর্ত প্রকৃতির। সে ঘনঘন মোবাইল সীম পরিবর্তন করায় তার সঠিক অবস্থান নির্ণয় করা কঠিন হয়ে পড়ে। তার মোবাইল নম্বরে কললিস্ট পর্যালোচনায় দেখা যায় সে ক্সবাজার, বান্দরবন, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, কুমিল্লা, নারায়নগঞ্জ, ঢাকা, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জসহ একেক সময় একেক স্থানে অবস্থান করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কথিত ভিকটিম শের আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে