বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

কক্সবাজারে জেপি টিটিসিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত

উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
  ০৭ মার্চ ২০২৪, ১৭:২২
কক্সবাজারে জেপি টিটিসিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত

নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ, এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ’- এই প্রতিপাদ্যে গতকাল বুধবার সকালে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে কক্সবাজার জেপি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের ( জেপি টিটিসি) উদ্যোগে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় বক্তরা বলেছেন, সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে নারী'রা সর্বত্র এগিয়ে যাচ্ছে। নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয় এমন উপলব্ধি থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর নানা পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। উপহার দিয়েছিলেন বাহাত্তরের সংবিধান। যেখানে বলিষ্ঠভাবে নারী-পুরুষের মর্যাদা সমুন্নত করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জাতির পিতার দর্শন অনুসারে দেশে নারীর অর্থনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের নতুন ধারা সূচনা করেন।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) তাপ্তি চাকমা, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক বিভাগ) জসিম উদ্দিন চৌধুরী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসা, জেপি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের চেয়ারম্যান জেসমিন প্রেমা, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন, এটুআই প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর রোজিনা আক্তার।

সভাপতিত্ব করেন জেপিটিটিপি ভাইস-চেয়ারম্যান ও কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্কাসের সুপারভাইজার আবু বককর ছিদ্দিক।

সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১ প্রণয়ন করে। জাতীয় সংসদের স্পিকার পদে একজন নারীকে নির্বাচিত করেন। সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই মন্ত্রীসভায় প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে নারীকে দায়িত্ব দেন। সংসদ উপনেতাও হন একজন নারী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য, উচ্চ আদালতের বিচারপতি করেছেন। স্থানীয় সরকার পর্যায়ে নারীর ক্ষমতায়নে ইউনিয়ন পরিষদে নারী জনপ্রতিনিধিকে সরাসরি ভোটে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছেন। বাল্যবিবাহ রোধ ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে কঠোর আইন করেছে সরকার।

এ-সময় বক্তারা বলেন, সরকার অনেক দুস্থ, অসহায় ও পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য ভিজিএফ, ভিজিডি, দুস্থ ভাতা, বয়স্কা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ও গর্ভবতী মায়েদের ভাতা, অক্ষম মা ও স্বামী পরিত্যাক্তাদের জন্য ভাতা, বিধবা ভাতা, কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি প্রণয়ন করেছে শেখ হাসিনার সরকার। সর্বক্ষেত্রে সন্তানের পরিচয় ও নিবন্ধনে বাবার নামের পাশাপাশি মায়ের নামও যুক্ত করা হয়েছে। বক্তারা বলেন, একটা সময় ছিল যখন নারীদের অবহেলা করা হতো।

এখন আমাদের দেশে নারীরা পুরুষের তুলনায় অনেকটা এগিয়ে। আগে একটা প্রথা ছিল, ছেলেরা মা-বাবার ভরণপোষণের দায়িত্ব নিত কিন্তু এখন শোনা যায়, ছেলেদের তুলনায় মেয়েরাই অনেক বেশি মা-বাবার ভরণ পোষণ করছে। সবক্ষেত্রে নারীদের সমান অধিকার সমুন্নত রাখতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে কাজ করতে হবে।

সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আবুল কালাম আযাদ। এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন রাজনীতিবিদ নুরুল ইসলাম সেলিম, রামু উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মহিউদ্দিন শরিফ, জেপিটিটিপি শিক্ষিকা নাদিয়া আকতার। পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত সভার শুরুতে অতিথিদের সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয় এবং সভা শেষে পিঠা উৎসবের স্টল পরিদর্শন করেন অতিথিরা। এসময় সমাজ কল্যাণ সংস্থার কর্মকর্তা, বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, জেপিটিটিসির প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

যাযাদি/এসএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে