রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের নাবিকদ রাজু 

ছেলেকে দ্রুত ফিরে পেতে সরকারের কাছে আবেদন: রাজুর মা

নোয়াখালী প্রতিনিধি
  ১৩ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫১
ছেলেকে দ্রুত ফিরে পেতে সরকারের কাছে আবেদন: রাজুর মা

ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের এবিল সি-ম্যান (নাবিক)মো: আনোয়ারুল হক রাজু (২৯) সহ জাহাজটির সব নাবিককে দ্রুত ‍ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে দ্রুততার সাথে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে তার পরিবাররের সদস্যরা।

আনোয়ারুল হক রাজু নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর গ্রামের আজিজুল হক মাস্টারের ছেলে। ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুরা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর কয়েক বার বাড়িতে ফোন দিয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন রাজু। রাজুর ছোট ভাই মো: জিয়াউল হক রনি বলেন, সে গতকাল দুপুরে ম্যাচেজ পাঠায়। ম্যাচেজ পাওয়ার পর আমরা যোগাযোগের জন্য অনেকে চেষ্টা করি, পরে চ্ট্রগ্রাম অফিসে ফোন দিলে তারা আমাদেরকে নিশ্চিত করে যে তাদের জাহাজটা হাইজ্যাক হয়েছে।

পরে ইফতারের সময় আমাদেরকে ফোন দিয়ে বিস্তারিত সে জানিয়েছে যে তাদের জাহাজটা হাইজ্যাক হয়েছে, জাহাজটা এখন সোমালিয়ার জলদস্যুরা সোমালিয়ার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। রাত ১০টার দিকে আবার ফোন দিয়ে বলেছে যে, ওখানে যেতে তাদের দুই আড়াই দিন লাগবে।

হয়তো ওখানে নিয়ে গেলে আর যোগাযোগ করতে পারবে না। ওখানে নিয়ে গেলে তাদেরকে জলদস্যুদের আরেক গ্রুপের কাছে তুলে দিবে বলে জানিয়েছে সে। ফোন রাখার আগে সবাইকে দোয়া করতে বলেছে।

এলাকায় আনোয়ারুল হক রাজুর বন্ধু ইমরান জানান, গতকাল দুপুরে তার ফোনে ভয়েজ ম্যাচেজে ঘটনাটি জানায় রাজু। ম্যাচেজে সবাইকে দেয়ার করতে বলে বেঁচে থাকলৈ আবার দেখা হবে বলে উল্লেখ করেন রাজু।

এরপর রাতে অন্য একটি ভয়েজ ম্যাচেজে সে জানিয়ৈছে তাদের সবাইকে একটি জায়গায় আটক করে রেখেছে। তাদেরকে সেহেরির জন্য সামান্য খাবার দিয়েছে, তারা খুব ভয় ভীতির মধ্যে আছে।

রাজুর বাবা আজিজুল হক মাস্টার বলেন, আমার ছেলে রাজু বাংলাদেশ শিপিং কোম্পানীর কবির স্টিলে চাকরি করে। গত চার মাস আগে সে জাহাজে উঠে। জাহাজটা মোজাব্বিক থেকে দুবাই আসতেছিল।

পথিমধ্যে সোমালিয়ার জলদস্যুরা জাহাজটিকে হাইজ্যাক করে তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যায়। জলদস্যুরা জাহাজটি তাদের আস্তানায় নিয়ে যাচ্ছে। জাহাজে থাকা আমার সন্তানসহি সবাই ভয়ভীতির মধ্যে আছে। দস্যুরা তাদের সবাইকে একে একে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। তাদের চিন্তায় আমরা খুবই ব্যাথিত। তার মা কান্নকাটি করতেছে। তাদেরকে দ্রুত ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং আমাদের এলাকার মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেররের কাছে বিনীত অনুরোধ করছি।’

রাজুর মা দৌলত আরা বেগম জানান, এশার নামাজের পর প্রতিদিন মুঠোফোনে ছেলে সাথে কথা হয় তার। ছেলেকে দ্রুত ফিরে পেতে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

তিনি জানান, গত সাত বছর থেকে রাজু জাহাজে কর্মরত। গত বছর জুলাই মাসে রাজু ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলো। দুই ভাই এ বোনের মধ্যে রাজু তৃতীয়। সে অবিবাহিত।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে