পটুয়াখালীর উপকূলবর্তী উপজেলা কলাপাড়ার স্কুলগুলো খোলার পরে তীব্র তাপদাহ ও লোডশেডিং এর কারনে দুই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাৎক্ষণিক ওই দুই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নেয়া হয়।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১২টা টার দিকে উপজেলার কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ খলিলুর রহমান। তিনি বলেন অসুস্থ হয়ে পড়া ওই দুই শিক্ষার্থী ইমন ইছা ও কারিমা আক্তার বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তীব্র গরমে ও ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে সকাল ১০টা থেকেই স্কুলের অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ বোধ করছিল। বেলা ১২টার দিকে দুই জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে বিদ্যালয় থেকে তাদের কুয়াকাটা ২০ সয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেয়া হয়। এবং প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদেরকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।

অভিভাবকরা বলছেন, তীব্র তাপদাহ ও গরমে বাচ্চারা অতিষ্ঠ, এর মধ্যে আবার অতিরিক্ত লোডশেডিং, সবমিলিয়ে নাজেহাল অবস্থা।

গোপালগঞ্জে সহিংসতায় নিহত ১, মহাসড়ক অবরোধ 

ছাত্রছাত্রীরা গরমের কারণে লেখাপড়া করতে পারছে না। প্রত্যেকটা স্কুলে জেনারেটর ব্যবস্থা করা দরকার। না হয় প্রতিনিয়ত বাচ্চারা এরকম অসুস্থ হয়ে পড়বে।

প্রধান শিক্ষক মোঃ খলিলুর রহমান বলেন, “তীব্র গরমে আসলে ক্লাস করানো কঠিন,গরমে সবারই হাঁসফাঁস অবস্থা। আজকে হয়তো দুইজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছেন কিন্তু পরে হয়তো আরো বারতে পারে।তবে বিদ্যুৎ থাকলে মোটামুটি গরমটা কম লাগে কিন্তু বিদ্যুৎ চলে গেলে ক্লাস করানো আরও কঠিন হয়ে পড়ে। আমাদের জোর দাবি বিদ্যালয়ে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেয়ার জন্য।

কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল ইসলাম বলেন, “আমি বিষয়টি জেনেছি। জেলা শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে কথা বলবো কিভাবে স্কুলের বাচ্চাদের সুস্থ রাখা যায় সে বিষয়টি আমরা ভেবে দেখব। এবং পাশাপাশি স্কুলে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি ও সৌর বিদ্যুতের পাখার ব্যবস্থা করার বিষয়টিও ভেবে দেখতে বলবো। তাছাড়া নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেয়ার বিষয়েও আমি পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো।

যাযাদি/এসএস