শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সাঙ্গুচরের সবজি ক্ষেতে তীব্র খরতাপের প্রভাব

সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
  ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪৫
ছবি-যায়যায়দিন

তীব্র খরতাপে এবার মরে যাচ্ছে সাঙ্গুচরের সবুজ শাকসবজির ক্ষেত। খরতাপের কারণে চরের কিছু কিছু ক্ষেতের সবজি গাছ ও পাতা কুচকে যাচ্ছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে সাতকানিয়া-চন্দনাইশের সবজি ভান্ডার হিসেবে খ্যাত সাঙ্গু নদীর চরে উদপাদিত সবজি ক্ষেতের মধ্যে ধনিয়া, মরিচ, মিষ্টি কুমড়া ও শসা ক্ষেতে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।

এ অবস্থায় কৃষকরা টিক মতো সেচ দিতে না পারায় কমে যাচ্ছে সবজির উদপাদনও। সাঙ্গুচরের কৃষক সাতকানিয়া উপজেলার পুরানগড় ইউনিয়নের লতাবুনিয়া গ্রামের জসিম উদ্দিন ও মো. জামাল জানান, গরমের যা অবস্থা, সবজি ক্ষেতে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

অতিরিক্ত গরমের কারণে অনেক কৃষক ক্ষেতে যাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছেন। সবজি ক্ষেত শুকিয়ে চৌচির হয়ে যাচ্ছে।

কৃষক বদিউল আলম জানান, তার ১৬ শতক পরিমাণ বেগুন ক্ষেতের কিছু অংশ তীব্র খরতাপে ঝলসে গেছে। মরিচ ক্ষেতেরও একই অবস্থা। মিষ্টি কুমড়া ক্ষেতেও লেগেছে খরতাপের প্রভাব।

এদিকে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের ফল বিভাগ থেকে চলমান তীব্র তাপদাহে ফল ও ফসলের জন্য কৃষকদের উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ফল জাতীয় সবজি যেমন বেগুন, টমেটো, মরিচ, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, করলা, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, পটল, শসা, এবং ঢেঁড়শ ইত্যাদিতে ৩ থেকে ৪ দিন অন্তর সেচ প্রয়োগ করা, পাতা জাতীয় সবজি যেমন ডাটা শাক, লাল শাক, পুইশাক, কলমী শাক, লাউশাক ইত্যাদিতে ২ থেকে ৩ দিন অন্তর সেচ প্রয়োগ করা।

এছাড়াও মাটির বৈশিষ্টের উপর ভিত্তি করে ফলন্ত আম, লিচু, জামরুল, জাম ও কাঁঠাল ইত্যাদি ফলন্ত গাছে ৭ থেকে ১০ দিন অন্তর সেচ দেয়া এবং তাপ প্রবাহ থেকে ধান ফসল রক্ষার জন্য জমিতে সর্বদা ৫ থেকে ৭ সেন্টিমিটার পানি ধরে রাখার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

সাতকানিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, চলমান তীব্র খরতাপে কৃষকদের ক্ষেতে কাজ করতে একটু অসুবিধা হচ্ছে। তারপরও ক্ষেতে নিয়মিত সেচে প্রয়োগের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তীব্র খরতাপ থেকে সবজি ক্ষেত রক্ষায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে