খুলনা র্যাবের অভিযানে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মাদক কারবারি খন্দকার ইনামুলকে গ্রেফতার করেছে র্যাব খুলনা অভিযানিক দল, র্যাব জানান,চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণ প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত দীর্ঘদিনের পলাতক ও দন্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে বলে র্যাব জানান।
নড়াইল সদর থানার মামলা নং-২০, তারিখ- ২১ আগস্ট ২০০৯, আসামী খন্দকার ইনামুল ইসলাম ছোট (৩৭) এর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালত গত ইং ০১/০৫/২০২৪ তারিখ যাবজ্জীবন কারাদন্ডের সাজা প্রদান পূর্বক গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করেন। র্যাব-৬, যশোর ক্যাম্প উক্ত পরোয়ানা সম্পর্কে অবহিত হয়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা সূত্র হতে প্রাপ্ত তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ইং ০২/০৫/২০২৪ তারিখ গভীর রাতে র্যাব-৬, যশোর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল জানতে পারে যে, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানাধীন মুরারীকাঠি এলাকায় অবস্থান করছে।
প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি ইং ০২/০৫/২০২৪ তারিখ ভোর আনুমানিক ০৫.৩০ ঘটিকায় উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী খন্দকার ইনামুল ইসলাম ছোট (৩৭), পিতা- মুনসুর শেখ, সাং- মুরারীকাঠি, থানা- কলারোয়া, জেলা- সাতক্ষীরা’কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে গত ইং ২১ আগস্ট ২০০৯ তারিখে বিপুল পরিমান ফেন্সিডিল সহ নড়াইল সদর থানা এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়।
পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে নড়াইল সদর থানায় মাদক আইনে মামলা রুজু হয়। উক্ত মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামী প্রায় নয় মাস জেল হাজতে থাকার পর বিজ্ঞ আদালত হতে জামিনে মুক্তি লাভ করে নিয়মিত বিজ্ঞ আদালতে হাজিরা না দিয়ে নিজেকে আত্মগোপন করে।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী আরো জানায় সে নিজেকে আত্মগোপনে রেখে দেশের বিভিন্ন এলাকায় টাইলস ফিটিং এর কাজ করতো এবং আইনশৃংখলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ২০১৬ সাল থেকে ২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত বিদেশ অবস্থান করছিল।পরবর্তী আইনুনাগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামীকে নড়াইল জেলার সদর কোর্ট পুলিশের নিকট হস্তন্তর করা হয়েছে ।
যাযাদি/ এম