শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

ভিক্ষাবৃত্তিতে ব্যবহারের জন্যে গাজীপুরে শিশু অপহরণ, গ্রেপ্তার-২

গাজীপুর প্রতিনিধি
  ০২ মে ২০২৪, ১৭:৩৬
সংগৃহীত ছবি

ভিক্ষা বৃত্তির উদ্দেশে প্রায় এক মাস আগে গাজীপুর মহানগরের নাওজোর এলাকা থেকে অপহৃত ৮মাসের শিশুকে উদ্ধার এবং এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তাররা হলো বগুড়ার সারিয়াকান্দি এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে মো. আবু সাইদ ওরফে সুমন (৪০) এবং তার স্ত্রী কুড়িগ্রামের উলিপুর থানার অনন্তপুর গ্রামের আফজাল হোসেনের মেয়ে মোসা. আইরিন (৩৪)। উদ্ধার শিশু আব্দুল্লাহ আল নোমান, গাজীপুর মহানগরের বাসন থানার ফরিদ মিয়ার বাড়ির ভাড়াটে ও স্থানীয় পোশাক শ্রমিক মোক্তার হোসের ছেলে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুর মহানগরের উপ-পুলিশ কমিশনার আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান তার কার্যালয়ে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের ওই তথ্য জানিয়েছেন। এসময় গাজীপুর সদর জোনের সহকারি পুলিশ কমিশনার ফাহিম আসজাদ, বাসন থানার এস.আই নাজমুল হক প্রমূখ এবং ভিক্টিমের বাবা-মা উপস্থিত ছিলেন।

উপ-পুলিশ কমিশনার আবু তোরাব জানান, গ্রেপ্তার আইরিন দম্পতি এবং ভিক্টিমের বাবা-মা গাজীপুর মহানগরের বাসন থানার ফরিদ মিয়ার বাড়ির পাশাপাশি রুমে ভাড়া থাকতেন। গত ৩ এপ্রিল সকালে ভিক্টিমের বাবা বাসা থেকে কর্মস্থলে চলে যান। দুপুরে মা ভিক্টিমকে গোসল করিয়ে ভাড়া বাড়ির খালি বসত ঘরের খাটে শুইয়ে রেখে বাথরুমে নিজে গোসলে যান। গোসল সেরে ঘরে ঢুকে ভিক্টিম নোমানকে ঘরে না পেয়ে আশেপাশে তার মা ওই বাড়ির ভাড়াটিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকেন। এসমসয় পাশের ঘরের ভাড়াটিয়া আইরিন দম্পতির কাউকে পাওয়া যাচ্ছিল না এবং তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল। ভিক্টিমের মা বিষয়টি পুলিশে জানান এবং পরদিন ওই দুজনকে আসামি করে বাসন থানায় মামলা হয়।

আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ও ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়ে ৫এপ্রিল মো.আবু সাইদ ওরফে সুমনকে কুড়িগ্রাম থেকে এবং ২ মে ভোরে তার স্ত্রী আইরিনকে ময়মনসিংহের কোতোয়ালী মডেল থানাধীণ চায়না মোড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার ও তার হেফাজত থেকে ভিক্টিমকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর নোমানকে তার বাবা-মার কাছে তুলে দেয় পুলিশ। হারানো সন্তানকে ফিরে পেয়ে বাবা-মা আবেগাপ্লত হয়ে পড়েন এবং চোখে আনন্দাশ্রæ বেরিয়ে আসে। নোমানের বাবা-মা গ্রেপ্তারদের উপযুক্ত শান্তি দাবি করেছেন। এ ঘটনায় আরো কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও দ্রæত গ্রেপ্তারের অনুরোধ জানিয়েছেন।

আইরিন পুলিশকে জানায়, নোমানকে ময়মনসিংহে ভিক্ষাবৃত্তির কাজে ব্যবহার করছিল। ছোট শিশুকে ব্যবহার করে ভিক্ষা করে মানুষের বেশি সহানুভুতি ও অর্থ পাওয়া যায় বলেই এ শিশুকে তারা ভিক্ষার কাজে ব্যবহার করছিল। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

যাযাদি/এসএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে