কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার বোয়ালিয়া তাহেরা নূর স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেনির ছাত্রী প্রবাসী আয়াতুল্লাহর মেয়ে সুমাইয়া (১৬) ঘুমের মধ্যে কুপিয়ে জখম করেছে তারই দূর সম্পর্কের ভাই মনির (২০) নামে এক যুবক।

ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার চান্দপুর ইউনিয়নের চারিয়া গ্রামে সুমাইয়ার বসত ঘরে। মনির পার্শ্ববর্তী মুমুরদিয়া ইউনিয়নের কুড়িখাই গ্রামের নিদু মিয়ার ছেলে।

এ ঘটনার পর অভিযুক্ত ঘাতক মনিরকে আটক করেছে পুলিশ।

জানাযায়, মনিরের বাবা ও সুমাইয়ার বাবা মামাত ফুফাত ভাই। আত্মীয়তার সূত্রে মনির প্রায় সময়ই সুমাইয়াদের বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। মনিরের উদ্দেশ্য ছিল সুমাইয়াকে বিয়ে করা। কিন্তু সুমাইয়া মনিরকে পছন্দ করতো না। সুমাইয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সুমাইয়া তা না নাকচ করে দেয়।

দেবিদ্বারে চেয়ারম্যান প্রার্থী মামুনুর রশিদের গণসংযোগ 

এ ক্ষোভে সে সুযোগ খোজতে থাকে। প্রায় সময়ই সে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে উত্যক্ত করতো এবং নানা রকম ভয়ভীতি দেখাতো। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কোন এক সুযোগে মনির ধারালো অস্ত্রনিয়ে সুমাইয়াদের ঘরে লুকিয়ে থাকে। ভোর রাতে সুমাইয়াকে ঘুমের মধ্যে এলোপাথারী কুপাতে থাকে।

এ সময় তার চিৎকারে ঘরে থাকা তার মা ও ছোট ভাই জেগে দেখে মনির ধারালো অস্ত্রদিয়ে সুমাইয়াকে কুপিয়ে জখম করছে। এ সময় তাকে আটকানোর চেষ্টা করলে সে পালিয়ে যায়। আহত সুমাইয়াকে উদ্ধার করে দ্রুত বাজিতপুর উপজেলায়ধীন ভাগলপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। বর্তমানে হাসপালে চিকিৎসাধীন অবস্থা রয়েছে।

সুমাইয়ার মা রুনা আক্তার জানান, মনির আমার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সে রাজী না হওয়ায় দীর্ঘদিন যাবত আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে আসছে। মঙ্গলবার রাতে কোন এক সুযোগে সে আমার ঘরে ঢুকে গভীর রাতে মেয়েকে ঘুমের মধ্যে কুপিয়ে জখম করে। আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করছি।

বোয়ালিয়া তাহেরা নূর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ইন্দ্রজিৎ সাহা বলেন, সুমাইয়া একজন মেধাবী ছাত্রী। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও অপরাধীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করছি।

কটিয়াদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ দাউদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জিজ্ঞাসা বাদের জন্য এক জনকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনার আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীকে দ্রুত গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে।

যাযাদি/ এম