স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও বিদ্যুৎ পাইনি। এ বয়সে গরম সহ্য করতে পারি না। দুই চোখের জল ফেলে কথাগুলি বলছিলেন, গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা ইউনিয়নের ফুকরা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শামচুল আলম।
তিনি দুঃখ করে বলেন, সবাই যখন ফ্যানের বাতাস পায়, আমি তখন বৃদ্ধ বয়সে গরমে ছটফট করি। আমার দুঃখ দেখার মত কেউ নেই। সামান্য বাঁধার কারণে আমি আজ বিদ্যূৎ থেকে বঞ্চিত।
মুক্তিযোদ্ধা শামচুল আলমের প্রতিবেশী বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত-মো. হাসমত আলী শেখের স্ত্রী ৬১ বছর বয়সী সালমা বেগম ঠিক একইভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন।
অভিযোগের সুরে বলেন, আমার স্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। অথচ স্বাধীন বাংলাদেশে আমি ও সন্তানরা বিদ্যূতের আলো থেকে বঞ্চিত। পাঁচ বছর আগে আমাদের মোট চারটি পরিবারের বিদ্যূৎ সংযোগ দেবার জন্য দুইটি বিদ্যূতের খুঁটি পোতা হলেও আজ পর্যন্ত আমরা বিদ্যুৎ সংযোগ পাইনি।
তাদের প্রতিবেশীদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি দুই মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও তাদের প্রতিবেশী মো. আতিয়ার রহমান শেখ এবং গোলাপ শেখের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে দুইটি খুঁটি স্থাপন করে। বিদ্যুৎতের তার টানাতে গেলে এলাকার প্রভাবশালী গাউজ শেখ বাঁধা সৃষ্টি করে।
তাদের প্রতিবেশী মো. মিজানুর রহমান জানান, রাস্তার পাশে গাউজ শেখের একটি মাঝারি ধরণের আম গাছের ডালের ভিতর দিয়ে বিদ্যূতের তার গেলেই ওই চার পরিবার বিদ্যূৎ পেতে পারে। কিন্তু মোঃ গাউজ শেখ ও তার লোকজন বিদূতের তার টানাতে বাঁধা সৃষ্টি করে। ফলে ওই দুই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারসহ চারটি পরিবার প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ঘরে ঘরে বিদ্যূৎ সুবিধা থেকে আজও বঞ্চিত রয়েছে।
এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যূৎ সমিতির রামদিয়া জোনের এজিএম মো. আকরাম হোসাইন বলেন, স্থানীয় বাঁধার কারণে আমরা তার টানাতে পারিনি। তবে বাঁধা না থাকলে এক দ্রুত সংযোগ দিতে পারবো।
যাযাদি/ এস