পৈত্রিক জমির ভাগ চাইতে গিয়ে ভাইদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন তিন বোন, এক ভাই ও ভগ্নিপতি। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটী ইউনিয়নের বোড়াই গ্রামে। আহতরা হলেন, শহিদা খাতুন, শাহানারা খাতুন, মাজেদা খাতুন, ছোট ভাই বিপুল হোসেন ও ভগ্নিপতি নাছির উদ্দীন। নাছির উদ্দীন শহিদা খাতুনের স্বামী। নাছির উদ্দীন উপজেলার মাটিকুমড়া গ্রামের নবিছদ্দিনের ছেলে। আহত তিন বোন ও ভাই বোড়াই গ্রামের কিতাবদী মন্ডলের সন্তান।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মাজেদা খাতুনের অভিযোগ, তার মা সবজান নেছার নামীয় ২২ কাঠা জমি তার ভাই হায়দার আলী একাই ভোগদখল করছেন। শুক্রবার জমির অধিকার চাইতে আমরা তিনবোন, ছোট ভাই ও ভগ্নিপতি বাড়ির উপর যাওয়া মাত্রই ভাই হায়দার আলী ও তার দুই ছেলে শাকিল ও রায়হান লোহার রড দিয়ে আমাদের পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
আহত বিপুল অভিযোগ করেন, তাদের জীবিত মা জমি বন্টনের কথা বলায় তাকে ক’বছর আগে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় হায়দার তিন মাস জেলেও ছিলেন।
বিপুল আরো অভিযোগ করেন, জমির ভাগ চাওয়ায় হায়দারের পুত্রবধু মৌ সুলতানাকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ২০ অক্টোবর আদালতে মিথ্যা ধর্ষন মামলা করে। পুলিশ তদন্ত করে রিপোর্ট দিলে সেই মামলা মিথ্যা প্রমানিত হয় এবং আদালত খারিজ করে দেয়। মায়ের জমি একাই গ্রাস করার জন্য আমাকেও নিজ গ্রাম থেকে বিতাড়িত করেছে বড় ভাই হায়দার আলী।
এ বিষয়ে হায়দার আলী জানান, তারা সবাই জোটবদ্ধ হয়ে সাতসকালে আমার বাড়িতে আসে গন্ডগোল করতে। তারাও মেরেছে, আমরাও মেরেছি। হায়দারের দাবী আমিসহ আমার ছেলে শাকিল ও স্ত্রী ফাতেমা খাতুন আহত হয়েছি।
এ বিষয়ে সাধুহাটী ইউনিয়নের ওই ওয়ার্ডের মেম্বর নাজির উদ্দীন জানান, হায়দার খুব খারাপ প্রকৃতির মানুষ। এর আগে সে তার মাকে মেরে জখম করে। শুক্রবার তার দুই ছেলে মিলে তিন ফুপু, ছোট চাচাসহ ৫ জনকে পিটিয়ে জখম করেছে। মায়ের নামে থাকা ২২ কাঠা জমির ভাগ বন্টন নিয়ে এ দ্বন্দ বলে তিনি যোগ করেন।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা পুলিশ ফাঁড়ির তদন্ত কর্মকর্তা সোহেল রানা জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় ৪/৫জন আহত হয়েছে বলে জেনেছি। আহতরা একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
যাযাদি/ এস