বগুড়ার শাজাহানপুরের আড়িয়া ইউনিয়নের কাটাবাড়ি গ্রামে হেফজুল ইসলাম মিঠু (৪৫) এবং তার স্ত্রী আফরোজা বেগম (৩৫) এর একসাথে রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তারা এখানে ভাড়া থাকতো। নিহত মিঠু নন্দীগ্রাম উপজেলার নিমগ্রাম এলাকার মৃত আব্বাস উদ্দিনের ছেলে ও তার স্ত্রী শাজাহানপুর উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের পরানবাড়িয়া গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে। জানাগেছে, স্থানীয় ফোকাস সোসাইটির কাছ থেকে তারা লক্ষাধিক টাকা ঋণ নিয়েছিল।
শুক্রবার ১০ মে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সুত্রে জানাযায়, রাতে মুমুর্ষ অবস্থায় তাদের ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
প্রতিবেশীরা জানান, হেফজুল পেশায় একজন গাছ ব্যবসায়ী। স্বামী স্ত্রী দুজনকেই মিলেমিশে বসবাস করতে দেখাগেছে। বাড়ির মালিক শফিকুর রহমান জানান, আমি সকালে বাজার থেকে বাসায় ফিরতে দেখেছি। এর কিছুক্ষণ পর আমার মেয়ে ফোন করে বলে তারা দু'জনে বিছানায় পরে ছটফট করছে। এ অবস্থা দেখে দ্রুত বাসায় ফিরে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাই।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ জানান, রাতে দুজনকে ৃুমুমুর্ষ অবস্থায় ভর্তি করা হয়।৷ এরপর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। তবে ময়না তদন্তের জন্য লাস মর্গে রাখা আছে। প্রতিবেদন পেলে কারন জানা যাবে।
নিহতের স্বজনরা জানান, তাদের পরিবারে কোন অমিল ছিল না। তবে ঋণ ছিল। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে দুজনে ছটফট করতে থাকে। এমতাবস্থায় হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। তবে এর কারন উদঘাটন প্রয়োজন।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, তাদের মৃত্যুর কারণ জানতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে এছাড়াও স্থানীয়ভাবে তথ্য সংগ্রহ চলছে।
যাযাদি/ এস