জৈন্তাপুর পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম লিয়াকত আলী (আনারস) প্রতীক নিয়ে তিনি চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন।
তার প্রাপ্ত ভোট ৩৭ হাজার ৯শ ৬ ভোট। তার নিকটম প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আব্দুল গফফার চৌধুরী খসরু (কাপ-পিরিচ) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৪ হাজার ১০ ভোট।
অপর প্রার্থী ব্যবসায়ী এম ইসমাইল আলী আশিক (দোয়াত কলম) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৮৭ ভোট। এছাড়া চেয়ারম্যান পদে ব্যালট পেপারে বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমদ এর নাম থাকলেও তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। তবুও তিনি (ঘোড়া প্রতীক) নিয়ে পেয়েছেন ১৮৪ ভোট। অপর প্রার্থী আলহাজ্ব হোসেইন আহমদ (মোটর সাইকেল) প্রতীক থাকলেও তিনিও নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি পেয়েছেন ১০৫ ভোট।
এম লিয়াকত আলী প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর চেয়ে ১৩ হাজার ৮শত ৯৬ ভোট বেশি পেয়ে তিনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাহাদ উদ্দিন সাদ্দাম (টিউবওয়েল) প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোট ২৩ হাজার ৮শ ৮৬ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাওলানা কবির আহমদ (চশমা) প্রতীক নিয়ে পান ১৫ হাজার ১শ ৪২ ভোট। অপর প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোট হচ্ছে বর্তমান ভাইস-চেয়ারম্যান বশির উদ্দিন (মাইক) ৫ হাজার ৩শ ১৮ ভোট,, নজরুল ইসলাম (উড়োজাহাজ) ২ হাজার ৪শ ১৭ ভোট, আব্দুল খালিক (টিয়া পাখি)। ১ হাজার ১শ ৭৪ ভোট, আব্দুল হক (বৈদ্যুতিক বাল্ব) ২ হাজার ১ ভোট, মাসুক উদ্দিন (তালা) ২ হাজার ৪শ ৬৯ ভোট ও শংকর দাশ (বই) প্রতীক নিয়ে পান ৯ হাজার ৯শ ৬ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান সংরক্ষিত পদে মোছা: সুনারা বেগম (কলস) প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোট ২৭ হাজার ৮শ ৩২ ভোট।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক মরহুম ফয়েজ আহমদ বাবর'র সহধর্মিণী মোছা: পারভীন আক্তার (ফুটবল) প্রতীক নিয়ে পান ১৫ হাজার ৭শ ৪২ ভোট। বর্তমান ভাইস-চেয়ারম্যান পলিনা রহমান (সেলাই মেশিন) নিয়ে ৪ হাজার ৭শ ৮০ ভোট ও সাবেক ভাইস- চেয়ারম্যান জয়মতি রানী (প্রজাপতি) প্রতীক নিয়ে পান ১৩ হাজার ১শ ১৯ ভোট।
এদিকে জৈন্তাপুর উপজেলায় শান্তিপূর্ণ ও উৎসব মূখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় উপজেলার সর্বস্থরের জনগণের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি রিটানিং কর্মকর্তা উম্মে সালিক রুমাইয়া।
অভিনন্দন
যাযাদি/এস