সারাদেশ

হাজীগঞ্জে সম্পত্তি দখলে নেয়ার পাঁয়তারায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে চাঁদপুর আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতে আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থিতি অবস্থা বজায় রাখতে রিসিভার নিয়োগ করা হয়। ঘটনাটি উপজেলার সেন্দ্রা দক্ষিণ বাজারের গাউসুল আজম সুপার মার্কেটে। সেই মার্কেটের একটি দোকান ঘর জোরপূর্বক ভেঙে দখলে নেয়ার পাঁয়তারা করছে সেলিম ভুইয়া গং, এমন অভিযোগ আনেন, মার্কেটের স্বত্ত্বাধীকারী মো. আবদুল মমিন ভুইয়া।

মামলার বাদী ও গাউসুল আজম সুপার মার্কেটের স্বত্ত্বাধীকারী মো. আবদুল মমিন ভুইয়া জানান, আমার মালিকানাধীন সেন্দ্রা দক্ষিণ বাজারের গাউসুল আজম সুপার মার্কেটের একটি দোকান ঘর জোরপূর্বক ভেঙে দখলে নেয়ার পাঁয়তারা করছে সেলিম ভুইয়া গং। গত ৫ আগস্ট সেলিম ভুইয়া গং এক দল সন্ত্রাসী নিয়ে মার্কেটে হামলা করেন এবং মার্কেটে থাকা বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর মামলামাল লুট করে নেয়া ও আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। তারপর পরই মার্কেটে থাকা ব্যবসায়ীরা মার্কেটের দোকান বন্ধ করে চলে যায়। পরবর্তীতে ঐদিনই সন্ধার পর পর পুনরায় সেলিম ভুইয়া গং সন্ত্রাসী নিয়ে মার্কেটের সার্টার ও দেয়াল ভেঙে একটি দোকানঘর দখলে নেয়ার পাঁয়তারা চালায়। আমি ১১ আগস্ট চাঁদপুর আদালতে সেলিম ভূইয়া (৫২), মোঃ সজিব (২১), নাছির উল্যা পাটওয়ারী রিপন (৪০) ৩ জনের বিরুদ্ধে ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৪৫ ধারায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলা দায়ের করি।

আবদুল মমিন ভুইয়া আরো জানান, মামলা দায়েরের পর, মহামান্য আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে নথি পর্যালোচনা করে অস্থায়ী স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে হাজীগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। আদেশ মতে হাজীগঞ্জ থানার ওসি ঘটনাস্থলে দিয়ে দখলে নেয়া দোকানঘরটিতে তালা দিয়ে উভয় পক্ষকে আদালতের নির্দেশনা মানতে অনুরোধ করেন। এবং আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে সেলিম ভুইয়া গং কে কারন দর্শাতে বলা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, সেন্দ্রা মৌজার বি.এস ১২১নং খতিয়ান ভুক্ত বি.এস ১১৪৩ দাগের ১৯ শতাংশ ভূমিতে আমার মার্কেট। উক্ত মার্কেটের দোকান গুলি আমি বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট ভাড়া দেই। আমার মার্কেটের উত্তর পাশের দোকানটি "নার্গিস সুইটস" এর কাছে ভাড়া দেই। উক্ত দোকানঘরটি সেলিম ভুইয়াগং ৩০/৪০ জন সন্ত্রাসী লোক নিয়ে ভাংচুর করে ও দখলে নেয়ার পাঁয়তারা লিপ্ত। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে হাজীগঞ্জ থানায় গত ১৫ মে ২০২৩ ও ১৯ মে ২০২৪ সালের দুটি অভিযোগও রয়েছে। তবুয় সেলিম ভুইয়া গং একের পর এক সম্পত্তি দখলের পায়তারায় লিপ্ত। সর্বশেষ গত ৫ আগস্ট আবারও আমার দোকানঘর ভাংচুর করে দখলের পায়তারা করে এবং আমার পরিবারের সদস্যদের ও মার্কেটের ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছে। বর্তমানে সেলিম ভুইয়া গংদের হুমকিতে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

এ ঘটনায় হাজীগঞ্জ থানার ওসি মো. আব্দুর রশিদ জানান, আদালতের আদেশ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাসহ আমি উপস্থিত হয়ে উক্ত দোকানঘরটি তালা লাগিয়ে দেই এবং উভয় পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং আর কোন আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

যাযাদি/ এসএম