চট্টগ্রামের পাঁচলাইশের শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির দুই ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখার অভিযোগে দুই প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ৪ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তাধিকার চট্টগ্রাম।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) নগরের প্রবর্তক এলাকায় শেভরনের ২য় ও ৬ষ্ঠ তলায় থাকা দুইটি ফার্মেসিতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয় কর্তৃক তদারকিকালে এমন অনিয়ম ধরা পড়ে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তাধিকার চট্টগ্রাম বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ। সাথে ছিলেন নাসরিন আক্তার, রানা দেব নাথ।
ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানায়, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধগুলো প্রতিষ্ঠানটি বিক্রির উদ্দেশ্যে মেয়াদ আছে এমন ওষুধের সঙ্গেই সংরক্ষণ করছিলো। এর মধ্যে কাঁশি, এন্টিবায়োটিক ও ডায়াবেটিকের ওষুধও রয়েছে। শেভরণ ক্লিনিকের ল্যাবরেটরি লিমিটেডের জিএম পুলক পারিয়াল মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ থাকার বিষয়টি স্বীকার করলেও ফার্মেসি দুটি ভাড়ায় চলছে বলে দাবি করেন। যদিও জরিমানা গুনতে হয়েছে ‘শেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি’কেই। প্রতিষ্ঠানটিকে এসব অপরাধে ২ লাখ ৪ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হয়েছে।
ভোক্তা অধিকারের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ বলেন, নগরের প্রবর্তক এলাকায় শেভরনের দ্বিতীয় তলায় থাকা মেসার্স শেভরণ ফার্মেসিতে অতিরিক্ত মূল্যে ওষুধ বিক্রি, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করায় ওই ফার্মেসিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ওষুধের মূল্য বেশি নেওয়ায় ওই ফার্মেসিকে আরও ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একইসঙ্গে হাসপাতালের ৬ষ্ঠ তলায় থাকা ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখায় ওই ফার্মেসিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
উপ-পরিচালক ফয়েজ উল্লাহ জানান, দুইটি ফার্মেসিতে মোট ২ লাখ ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জনস্বার্থে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এ তদারকি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
যাযাদি/ এসএম