পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় বাণিজ্যিক ভাবে উন্নত গোল্ডেন ৮ জাতের পেয়ারা চাষ করে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছেন আটঘরিয়া পৌরসভার বিশ্রামপুর মহল্লার যুবক মনিরুল ইসলাম। তিনি পেয়ারা চাষ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। বছরে ১ লক্ষ টাকা খরচে পেয়ারা চাষ করে তিনি বছরে প্রায় ১২ লাখ টাকা আয় করছেন।
তার পেয়ারা বাগান গাছে ফুল ও ফলে ভরে আছে। তিনি উপজেলায় একজন সফল কৃষি উদ্যোক্তা।
তিনি জানান, ৩/৪ বছর বয়সী একটি গাছ থেকে ১ বছরে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার পেয়ারা বিক্রি করতে পারেন । এ উন্নত জাতের গাছ থেকে কম খরচে ১২ মাসই পেয়ারা পাওয়া যায়।
প্রতিটি পেয়ারা আধা কেজি থেকে প্রায় এক কেজি ওজন হয়। একটি গাছ টানা সাত থেকে আট বছর ফল দেয়। আর এ পেয়ারা প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করা হয়।
তিনি প্রায় ৩ বিঘা জমিতে ১১শ গোল্ডেন ৮ জাতের পেয়ারা গাছ লাগিয়েছেন। তার দেখাদেখি অনেক কৃষক ও বেকার যুবকরা এখন উন্নত জাতের পেয়ারা চাষ শুরু করছেন।
পেয়ারার পাশাপাশি সাথী ফসল হিসাবে তিনি মরিচ, হলুদও চাষ করছেন। এছাড়া কলমের মাধ্যমে গোল্ডেন ৮ জাতের পেয়ারার চারা উৎপাদান করছেন এবং বানিজ্যিকভাবে বিক্রি করছেন। যারা তরুন উদ্যোক্তা আছেন তাদের তিনি বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছেন।
উদ্যোক্তা যুবক মনিরুল ইসলাম জানান, সাধারণ ফসলের চেয়ে পেয়ারার আবাদে ৩ গুণ লাভ হয়। চারা সংগ্রহ করে বৈশাখের শেষ সময় থেকে পেয়ারার চারা লাগানো শুরু হয়। গাছ লাগানোর ৩ থেকে ৪ মাসের মাথায় ফল ধরতে শুরু করে।
১২ মাস পেয়ারা ধরলেও শীত মৌসুমের পেয়ারায় দাম বেশি পাওয়া যায়। এক বিঘা জমিতে ৪০০টি পেয়ারা গাছ লাগানো যায়। লাগানোর ১ম বছরেই একটি পেয়ারা গাছে এক বছরে ১৫ কেজি পর্যন্ত পেয়ারা হয়, যা ২য় বছরে বৃদ্ধি পেয়ে ২০ থেকে ২৫ কেজি এবং ৩য়-৪র্থ বছরে ৩০ থেকে ৪০ কেজি পর্যন্ত ফলন হয়।
এক মণ পেয়ারা বাজারে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১৪শ থেকে ২৪শ টাকা পর্যন্ত । বর্ষাকালে পেয়ারার পোকা ও পচন রোধে সুষম সার প্রয়োগ করতে হয়। এছাড়া পেয়ারার গায়ে পলিথিন জড়িয়ে দিতে হয়। তার সাফাল্য দেখে অনেকই এখন উন্নত জাতের পেয়ারা চাষ শুরু করছেন।