চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নে একটি বাড়িতে ডাকাতির চেষ্ঠাকালে দুইজনকে আটক করেছে স্থানীয়রা। এসময় তাদের গণধোলাই দিয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর করে।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টার উপজেলার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মৌলভীবাজার ইব্রাহিম চেয়ারম্যান বাড়ির খুরশীদ আলমের ঘরে এঘটনা ঘটে। আটক ব্যক্তিরা হলেন চরলক্ষ্যা ৫ ওয়ার্ডের আবুল বাশারের ছেলে আনু মিয়া (৪০) ও চরপাথরঘাটা ৮ নং ওয়ার্ডের মৃত বিচ্ছু মিয়ার ছেলে জানে আলম (৩৫)। আহত আনু মিয়াকে থানা পুলিশের তত্ত¡াবধানে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, নগরীর বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় তেলের ব্যবসা করতেন খুরশীদ আলম। আটক মনু মিয়া ও জানে আলম খুরশীদের কাছ থেকে খুচরা তেল সংগ্রহ করতেন। কিছু আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে বছরখানেক আগে খুরশীদ আলমকে কুপিয়ে জখম করেন মনু মিয়া, এঘটনায় থানায় মামলাও দায়ের করা হয়েছিল। শনিবার রাতে মনু মিয়া ও জানে আলমসহ ৩-৪ জন অতর্কিতভাবে খুরশীদ আলমের ঘরে প্রবেশ করে।
সে সময় বাড়ির মালিক খুরশীদ আলম নগরে থাকলেও তার ছোট ভাই শহিদুল আলম পরিবারসহ সেখানে বসবাস করছিলেন। হামলার সময় শহিদুল বাড়ির বাইরে থাকলেও তার স্ত্রী ও সন্তান ঘরের ভেতরে ছিলেন। সন্দেহভাজনরা বাড়ির দোতলার দরজা ভাঙচুর করলে শব্দ শুনে শহিদুল দ্রæত বাইরে চলে যান এবং স্থানীয়দের খবর দেন এবং মসজিদের মাইকে ডাকাত পড়ার ঘোষণা দিলে মুহূর্তেই জনতা জড়ো অভিযুক্তদের দেশীয় অস্ত্র,ছুরি, চাপাতি সহ আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে তাদের উদ্ধার করে থানা নিয়ে যায়।
কর্ণফুলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ জানান, "বসতবাড়িতে ডাকাতি সন্দেহে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিধীন রয়েছে।"
যাযাদি/ এমএস