গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের প্রাকৃতিক দূর্যোগ থেকে রক্ষা ও শিক্ষার আলো ছড়াতে ১৯৯২ সালে জমি ও অর্থ দিয়ে এস এম আবুল হোসাইন প্রতিষ্ঠা করেন সাইক্লোন শেল্টার, একই সাথে ওই সাইক্লোন শেল্টারে চালু করেন চট্টগ্রামের আনোয়ারা জুঁইদন্ডী ইউনিয়নে জে.কে.এস জুনিয়র হাই স্কুল নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
কিন্তু পরবর্তিতে রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিন্নতায় নিজ প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয় থেকে বাদ পড়েন এস এম আবুল হোসাইনের নাম। আবুল হোসাইনের অপরাধ তিনি জুঁইদন্ডী ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি। দীর্ঘ ১৬ বছর বিভিন্ন দপ্তরে গেলেও রাজনৈতিক ভিন্নতায় বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়। আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর আবুল হোসাইন নিজের স্বীকৃতির জন্য লিখিত অভিযোগ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে।
ভুক্তভোগী এস.এম আবুল হোসাইন বলেন, আমি জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি। ১৯৯১ এর ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী এলাকার সর্বসাধারণের নিরাপদ আশ্রায়ণ ও শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে স্থানীয় সচেতন জনগণের সহায়তায় প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে আমি ও অন্যান্য জমিদাতা সংগ্রহ করে জে.কে.এস উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করি এবং আমার ও সরকারি অর্থায়নে বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ করি যার প্রমাণ হিসেবে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার যাবতীয় নথিপত্র ও কাগজপত্রে একমাত্র আমার নাম লিপিবদ্ধ আছে।
তবে পরবর্তীতে কতিপয় স্থানীয় স্বার্থন্বেষী মহল রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ব্যবহার করে আমাকে বিদ্যালয় পরিচালনা থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। তারা দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে চরম স্বোচ্ছাচারিতা, অনিয়ম এবং দুর্নীতি করে আসছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহামুদুল হক বলেন, তখনকার সময়ে আমি প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে ছিলামনা। এখনো এধরণের কোন অভিযোগের কপি আমি পায়নি। আবেদন বা অভিযোগ পেলে বিধি মোতাবেক ভাবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্ঠা করব।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিধি মোতাবেক ও আইনগত ভাবে সমাধান করা হবে।
যাযাদি/ এমএস