দর্শনা থানার অন্তর্গত পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা মামলার ২ আসামীকে আটক করেছে পুলিশ। এতে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে বিএনপি নেতার মধ্যস্থতার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ভোরে ঝিনেদাহ মহেশপুর থানার কানাইডাঙ্গা থেকে ও দামুড়হুদার বোয়ালমারী হতে পৃথক দুই জায়গা থেকে দুজনকে আটক করে দর্শনা থানা পুলিশ।
ভুক্তভোগী শিশু কন্যার মা'দাদী ও চাচাতো ভাই পলাশ বলেন বৃহস্পতিবার ১৩ মার্চ দুপুরে দর্শনা থানার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের মদনা স্কুলপাড়া গ্রামের তৃতীয় শ্রেনীর এক শিশু কন্যাকে লজেন্স দেয়ার নাম করে পাশের বাঁশ বাগানে নিয়ে ধর্ষন চেস্টা চালায় একই গ্রামের খলিলের ছেলে নুর জামাল ও জলিলের ছেলে হুসাইন। এ সময় শিশু কন্যার চিৎকারে স্হানীয় লোকজন ছুটে আসে পরে মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। এ সময় নুরুজ্জামান ও হুসাইন সকলের সামনে মেয়েটিকে উদ্দেশ্য করে হুমকি দিয়ে বলে এই কথা কারো কাছে বললে তোকে আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলবো।
পরদিন থানা বি এন পির সদস্য ইসরাফিল হোসেন ও ইউনিয়ন বি এন পির সাবেক সভাপতি আমিরুল ইসলাম গোপনে বাড়িতে বসে মিমাংসা করে দেয় বলে শিশু কন্যার পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়। এবং তারা নিজেও স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়ন বি এন পির সভাপতি শফিউদ্দিন ও সাধারন সম্পাদক আজিবর রহমান জানান এ রকম একটি ঘটনার কথা আমরা শুনেছি এবং আমরা দুজনেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম ,কিন্ত নারী নির্যাতন সহ বেশ কিছু অপরাধ, যা গোপনে বা বাড়িতে বসে মিমাংসা করা যায় না তাই আমরা ফিরে এসেছি।
এ বিষয়ে ইসরাফিল হোসেন ও আমিরুল ইসলাম জানান আমরা কোন বিচার সালিশ করিনি। উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে আমরা ঘরোয়া ভাবে মিমাংসা করে দিয়েছি এবং উভয়কে হাতে হাত মিলিয়ে দিয়েছি।
এ ঘটনায় শিশুকন্যার বাবা ইয়াসিন হোসেন বাদি হয়ে সোমবার রাতে দর্শনা থানায় ধর্ষন চেস্টা মামলা করলে পুলিশ মঙ্গলবার ভোরে একই গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে নুর জামাল (১৬) কে মহেষপুর কানাইডাঙ্গা থেকে ও আঃ জলিলের ছেলে হুসাইন (১৫)কে দামুড়হুদা বোয়ালমারী নানাবাড়ি থেকে আটক করেছে।
দর্শনা থানার ওসি শহিদ তিতুমীর জানান আটককৃতদের মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা কোট হাজতে চালান করা হয়েছে।