ফরিদপুরের মধুখালীর বিভিন্ন হাটে পেঁয়াজ নিয়ে ভিড় করছেন চাষিরা। এবার প্রথম দিকে পাইকারি ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) হাটে দাম চড়া। বিক্রি হয়েছে ১৮০০ থেকে ২১০০ টাকায়। উপজেলার মধুখালী পৌর সদরের সবচেয়ে বড় বাজার শুক্রবার ও সোমবার দুদিন বসে পেঁয়াজের হাট। এ হাটে উপজেলার বাগাট, নওপাড়া, কোরকদী, মেগচামী, জাহাপুর, রায়পুর, কামালদিয়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে পেঁয়াজ নিয়ে ভিড় করেন চাষিরা।
পেঁয়াজের দামের ঊর্ধ্বগতিতে কৃষকেরা ঘরের পেঁয়াজ হাটে আনতে শুরু করেছেন। এতে মধুখালী উপজেলার পেয়াজ বাজারের ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ জানজটের দেখা দিয়েছে। রাস্তায় এম্বুলেন্সে রোগী সহ যাত্রীবাহী বাস ট্রাকের দীর্ঘ সারি জমে গিয়েছে। সকাল ৭টা থেকে বেলা ১ টা পর্যন্ত এ জানজটে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে যানবাহনের যাত্রীদের।
মৌসুমে প্রতি হাটে মধুখালী থেকে ২৫ থেকে ৩০ জন আড়ৎদারের ঘর থেকে প্রায় একশত হাজার মণ পেঁয়াজ রাজধানী ঢাকা, বরিশাল, খুলনাসহ বিভিন্ন জেলার ব্যাপারিরা কিনে নিয়ে যান। আজকে প্রতি মণ পেঁয়াজ ১ হাজার ১৮০০ টাকা থেকে ২ হাজার ২১০০ টাকা পর্যন্ত পাইকাররা কিনছেন। হঠাত দাম বেরে যাওয়ায় বাজারে পেঁয়াজের আমদানিও প্রচুর বলে বলছেন আড়ৎমালিকরা।
মধুখালী বাজারের আড়ৎদার মো. আতিয়ার মোল্যা বলেন, ঈদের আগেও পেঁয়াজের প্রচুর আমদানি হয়েছিল। তবে তখন দাম নিম্নমুখী ছিল। বর্তমানে দাম বাড়াতে কৃষকরা ঘরে রাখার পরিবর্তে বাজারে নিয়ে আসতে ঝুঁকছেন। এখনকার দামে কৃষকরা লাভবান হবে।
বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করতে আসা বাবু মিয়া বলেন, মণ প্রতি খরচ করেছি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। প্রথম দিকে সে দামে বেচেঁতে পারিনি। এখন দাম ভাল এ দামে বিক্রি করে আমারা খুশি।
আড়পাড়া গ্রামের কৃষক মো. মনিরুল বলেন, দাম যদি এরকম থাকে তাহলে আমাদের মত কৃষকেরা কিছু পয়সা পাবে। কৃষকদের উপকার হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মাহাবুব ইলাহী জানান, চলতি ২০২৪-২৫ মৌসুমে মধুখালীতে মোট মুড়িকাটা, দানা এবং হালিসহ সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৫০০ হেক্টর ধরা হয়েছে। যা গত বছরে ছিল ৩ হাজার ৪৫০ হেক্টর।
যাযাদি/ এসএম