শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে কেন্দ্রসচিবকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
  ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১৩:০৭
এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে কেন্দ্রসচিবকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ
ভূঞাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তারিকুল ইসলাম। ফাইল ছবি

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পরীক্ষার কেন্দ্রেই কেন্দ্র সচিবকে শারীরিকভাবে নির্যাতন ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২০ এপ্রিল) এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন কেন্দ্র সচিবের ছেলে আব্দুল ওয়ারেছ।

অভিযোগে বলা হয়, গত ১৭ এপ্রিল ভূঞাপুর ফাযিল মাদরাসায় অনুষ্ঠিত দাখিল গণিত পরীক্ষার দিন কেন্দ্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে প্রশ্নপত্র কম থাকার অভিযোগে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তারিকুল ইসলাম। অধ্যক্ষ আব্দুস ছোবহানকে শারীরিকভাবে নির্যাতন ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।

1

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, জামিয়াতুল মোদার্রেছীন উপজেলা শাখার সভাপতি আফছার উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলামসহ অন্যান্য সদস্যরা একটি সহায়ক পাঠ্যপুস্তক প্রকাশনা সংস্থার কাছ থেকে নেয়া অর্থ আত্মসাৎ করলে, অধ্যক্ষ ছোবহান এর প্রতিবাদ করেন।

এরই জেরে, ১৬ মার্চ জামিয়াতুল মোদার্রেছীন সংগঠন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে সংগঠনের সভাপতি আফছার উদ্দিনকে কেন্দ্র সচিব হিসেবে মনোনয়নের জন্য মাদরাসা বোর্ডে সুপারিশ করে। তবে ২৪ মার্চ অধ্যক্ষ আব্দুস ছোবহান এই মনোনয়নের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন এবং ৮ এপ্রিল পুনরায় কেন্দ্র সচিবের দায়িত্বে বহাল হন।

পরদিন ৯ এপ্রিল হাইকোর্টের আদেশের অনুলিপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে জমা দিলে সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, ওই দিন রাতেই এসিল্যান্ড তারিকুল ইসলাম মাদরাসায় গিয়ে অধ্যক্ষ ছোবহানকে জানান, আফছার উদ্দিনই দায়িত্ব পালন করবেন এবং হুমকি দেন যে বয়স বিবেচনা না করেই ‘পিঠের চামড়া তুলে’ দেবেন।

এরপর ১৭ এপ্রিল পরীক্ষা চলাকালীন সময় প্রশ্নপত্র কম থাকা এবং দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে অধ্যক্ষসহ মোট ছয়জনকে আটক করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. পপি খাতুন। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরও করা হয়।

অধ্যক্ষের ছেলে আব্দুল ওয়ারেছ বলেন, ‘বাবার সঙ্গে কথা বলতেই তিনি কেঁদে ফেলেন। এসিল্যান্ড শুধু শারীরিকভাবে নির্যাতনই করেননি, তাকে চরমভাবে অপমানও করেছেন। অথচ প্রশ্নপত্র বিতরণকারী ন‚রুল হুদার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।’

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু জেলা প্রশাসক স্যারের কাছে অভিযোগ দেয়া হয়েছে, তদন্তেই সত্যতা প্রমাণ হবে।’

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সঞ্চয় কুমার মহন্ত বলেন, ‘এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দোষী প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে