সাদুল্লাপুরে আর্থিক সংকটে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি অনিশ্চিত এক শিক্ষার্থীর শীর্ষক এমন একটি সংবাদ গত বুধবার যায়যায়দিন পত্রিকার অনলাইন এডিশনে প্রকাশিত হয়।
প্রকাশিত সংবাদটি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী মোহাম্মদ অনিক ইসলামের নজরে পড়ে।
উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ চকদাড়িয়া গ্রামের দিনমজুর আব্দুস ছালামের ছেলে মোস্তাফিজার রহমান চঞ্চল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন। সেখানে তিনি এ ইউনিটে ভর্তির সুযোগ পান। কিন্তু টাকার অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে তার উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন যেন থমকে পড়ার উপক্রম হয়েছিল।
ঠিক সেই মুহুর্তে চঞ্চলের আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়ে পাশে দাঁড়ান সাদুল্লাপুর উপজেলার মানবিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী মোঃ অনিক ইসলাম।
তিনি চঞ্চলের ভর্তি সংক্রান্ত সবকিছু খোঁজ খবর নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে তার নিজ কার্যালয়ে দরিদ্র এই মেধাবী শিক্ষার্থীকে ডেকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যাবতীয় ফি তার হাতে তুলে দেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী মোহাম্মদ অনিক ইসলাম বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়ন ও প্রসার ঘটাতে মেধাবী শিক্ষার্থীদের সকল প্রকার সহযোগিতা করা হবে। বিশেষ করে দরিদ্র পরিবারের মেধাবীদের উচ্চ শিক্ষা অর্জনে আর্থিক সহায়তা দিতে আমরা সর্বদা তার পাশে থাকবো।
তিনি আরো বলেন,শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।কেউ যেন অর্থের অভাবে লেখাপড়া থেকে ঝড়ে না পড়ে এজন্য আমাদের সৃদৃষ্টি থাকবে।
এজন্য আমি খুব আনন্দিত ও গর্বিত। আমি আমার লক্ষ্যেস্থানে পৌঁছাতে পারলে আমিও যেন অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে পারি। আর্থিক সহায়তা পাওয়ার পর চঞ্চল ইউএনও স্যারের প্রতি অসংখ্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।