নাটোরের বড়াইগ্রামে বৃহস্পতিবার (১ মে) রাতে ১১মিটার ও এক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার জোনাইল বাজার থেকে ১১ মিটার চুরি করে বিকাশ নম্বর রেখে গেছে চোরেরা। এদিকে নগর ইউনিয়নের লক্ষীচামারী গ্রাম থেকে একটি ট্রান্সফরমার চুরি করে নিয়ে গেছে।
আর মাঝগাঁও ইউনিয়নের লাথুরিয়া বিলথেকে ট্রান্সফরমার চুরির প্রস্তুতির সময় সাগর হোসেন (২৭) নামে একচোরকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। এই নিয়ে গত তিন মাসে শতাধিক শিল্প মিটার, ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটেছে।
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ সূত্রে জানা যায়, জোনাইল বাজারে আব্দুস সালাম, আব্দুর রহিম, রবিউল করিম, নাজমুল হোসেন, বিনয় পাল, মিনাল ঘোষ, জয়নাল আবেদীন, আফাজ উদ্দিন, শাহাদৎ হোসেন, বিরাজ উদ্দিন ও ইয়াসমিন আক্তারের শিল্প মিটার চুরে করে বিকাশ নম্বর রেখে যায়। আর লক্ষীচামারী গ্রামের রমজান খন্দকারের ট্রান্সফরমার চুরি করে। এদিকে মাঝগাঁও ইউনিয়নের লাথুরিয়া গ্রামের ট্রান্সফরমার চুরির প্রস্তুতি কালে গুরুমশৈল গ্রামের আকবর আলীর ছেলে সাগর হোসেনকে আটক করে স্থানীয়রা। এসময় তার নিকট থেকে চুরি কাজে ব্যবহার্য যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ ডেকে তাকে সোপর্দ করা হয়।
পুলিশ ও শিল্প গ্রাহক সূত্রে জানা যায়, শিল্প মিটারগুলো কোন বিশেষ দক্ষতা ছাড়াই খুলে নেওয়া যায়। আর চোরেরা সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে নিয়মিত চুরি করে মিটার নিয়ে সেখানে বিকাশ নম্বর রেখে যায়। সেই নম্বরে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা বিকাশ করলেই নির্দিষ্ট স্থানে পাওয়া যায় মিটার।
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর মহাব্যবস্থাপক (জিএম) প্রকৌশলী বিপ্লব কুমার বলেন, অত্র অফিসের সদর, গুরুদাসপুর জোনাল অফিস ও লক্ষীকোল সাব-জোনাল অফিসের আওতার গ্রাহকদের মিটার-ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা বেশি ঘটছে। এনিয়ে নিয়মিত গ্রাহক সচেতনতা, লোহার খাঁচাসহ নানা পদক্ষেপ এবং নিয়মিত পাহাড়া দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ট্রান্সফরমার চুরির প্রস্তুতির অভিযোগে সাগর হোসেন নামে একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পরবর্তী পদক্ষেপ ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।