মিনি আয়না ঘর থেকে অক্ষত অবস্থায় মুক্তি পেল সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে শিল্পী খাতুন ও বৃদ্ধ আব্দুল জুব্বার।
আয়নাঘর থেকে মুক্ত হওয়া ভুক্তভোগী শিল্পী খাতুন গণমাধ্যম কে জানায়,পাঁচ/ছয় মাস ধরে বন্দি ছিলাম। একমাস অন্য জায়গায় রেখেছিল। তবে কোথায় রেখেছিল জানি না। তবে মাঝে মধ্যে তার শরীরে ইনজেকশন দিয়ে অজ্ঞান করে রাখতো, শরীরের অঙ্গ বিক্রি করার ভয় দেখাইতো। তাদেরকে বন্দি করার সাথে জড়িত কারা জানতে চাইলে তারা বলতো নাপল্লি চিকিৎসক আরাফাত,শরীফ মেম্বার, কামরুল ইসলাম, হাফিজুল, পান্নাসহ আরও তিনজন। তারা মুখোশপরা ছিলেন। বন্দিঘরে তিনি ছাড়াও আব্দুল জুব্বার নামের একজন বৃদ্ধ ছিলেন।
আরেকজন ভুক্তভোগী আব্দুল জুব্বার গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তিনিও প্রায় ছয় মাস আগে নিখোঁজ হয়ছিলেন বলে জানান, তার পরিবার। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, নিখোঁজ শিল্পী খাতুন ও আব্দুল জুব্বারকে চান্দাইকোনা ইউনিয়নের সোনারাম পূর্বপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের পুত্র সুমনের বাড়ীর আয়না ঘরে আটক করে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। দীর্ঘ ছয় মাস জিম্মি থাকার পর শুক্রবার রাত তিনটায় কেচি দিয়ে মাটি খুঁড়ে সুরংঙ্গ তৈরি করে আয়না ঘর থেকে বের হয় তাঁরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,বিক্ষুপ্ত জনতা সাংবাদিক নাজমুল ইসলাম আরাফাতের পশ্চিম লক্ষ্মীখোলা বাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়।
পরে অপহরণকৃতদের দেয়া তথ্য মতে পুলিশ,সেনাবাহিনী, সংবাদকর্মী সহ বিভিন্ন আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা আয়না ঘরের সন্ধ্যান পায়। এসময় চক্রের এক সদস্য সাংবাদিক নাজমুল ইসলাম আরফাত কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোয়েন্দা বাহিনীর লোকজন তুলে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে রায়গঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান জানান, ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। নিখোঁজ দুই ব্যক্তির পরিবার থেকে অভিযোগ দেয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে।