কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর বিপিডিবি বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার গ্রাহকদের প্রি-পেইড মিটার রিচার্জ করতে গিয়ে ভোগান্তি ভারছে চরমে। ভূয়া বিলের হয়রানি থেকে মুক্তি চায় প্রি-পিইড গ্রাহকরা।
কার্ডে টাকা রিচার্জ করার আগেই নানান নামে কেটে নেওয়া হচ্ছে তাদের অর্থ। ২০০শত ডিজিটে বিশাল কোডটি মিটারে চাপতে গিয়ে লক হলে গ্রাহকরা ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা গচ্ছা যাচ্ছে।
গ্রাহকদের অভিযোগ প্রি-পিইড মিটারের ব্যবহার বিধি যেমন কঠিন তেমনই বিদ্যুৎ বিল ও গুনতে হচ্ছে দেড় থেকে দুই গুণ।
অনেকেই বিল পরিশোধে ব্যবহার বিধি সহজ নিয়ম চালু ও বারতি বিল আদায়ের বিষয়টি সমাধানের জন্য কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছে গ্রাহকরা। ভূক্তভোগি গ্রাহকরা জানান নতুন মিটারে অনেক ডিজিট আসে এগুলো ধাপে ধাপে চাপ দিতে হয়। কিন্তু অনেকেই এই ব্যবহার বিধি মানতে গিয়ে বিপ্ততিতে বাদিয়ে পেলে। পর পর তিনবারের বেশি চাপ দিলে বেশ কিছুক্ষণ আর টাকা রিচার্জ হয় না।
তার মোবাইলে আসা ডিজিট গুলো মিটারের সামনে চাপ দিতে হয়। এছাড়াও যেইসব পরিবারের সদস্যরা প্রবীন ও মধ্য বয়সী তাদের বিড়ম্বনার অন্তেই। অনেকেই আশে পাশে তরুনদের ডেকে এনে মিটারে টাকা রিচার্জ করতে হয়। বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায় বাজিতপুর উপজেলায় ২৮ হাজার গ্রাহকের মধ্যে প্রায় ৬ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছেন প্রি-পেইড মিটারের আওতায়।
কিন্তু বিল পরিশোধের জটিলতা, মিটার চার্র্জ ডিমান্ড, চার্জ ভ্যাটসহ নানান বারতি বিলের ভয়ে প্রি-পেইড মিটার গ্রাহক হতে অনাগ্রহ প্রকাশ করছে জনগণ।
বাজিতপুর বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ তৌহিদুল ইসলাম জানান, এই বিষয়টি আস্তে আস্তে গ্রাহকরা ব্যবহার করতে করতে অভ্যাসে পরিনত হলে বিল বিড়ম্বনা কমবে বলে উল্লেখ করেন।