টাঙ্গাইলে ফুটবল খেলোয়াড় ও ক্রিকেট কোচ সহ ১৩৫ ব্যক্তির নামে সাজানো ঘটনায় দ্রæত বিচার আইনে মামলার দায়ের করার প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে সাবেক খেলোয়াড়সহ চার ব্যক্তি। শনিবার(৩ মে) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এদিন তারা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচিও পালন করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, বাসাইলের কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেক ফুটবলার মো. শামিম আল মামুন।
লিখিত বক্তব্যে সাবেক ফুটবলার মো. শামিম আল মামুন জানান, টাঙ্গাইল শহরের কাগমারী পাতুলিপাড়া এলাকার হাবিল মিয়ার ছেলে খোকন আহম্মেদ বাদী হয়ে গত ২৪ এপ্রিল ১৩৫ জনকে অভিযুক্ত করে দ্রæত বিচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়। সেখানে সাবেক খেলোয়াড় শামিম আল মামুন, সুবর্ণতলী গ্রামের মতিন মাস্টারের ছেলে মো. উজ্জ্বল, টাঙ্গাইল শহরের থানাপাড়া এলাকার ইবাদত খানের ছেলে ক্রিকেট কোচ ইসলাম খান ও চরপাড়া এলাকার সাবেক ফুটবলার এনামুল হক রৌফকেও অভিযুক্ত করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তারা দাবি করেন, গত ২০ জুলাইয়ের ঘটনায় তাদেরকে অভিযুক্ত করা হয়। কিন্তু শামিম আল মামুন ওই সময়ে চিকিৎসার জন্য ভারতে অবস্থান করছিলেন। সুবর্ণতলী গ্রামের মতিন মাস্টারের ছেলে মো. উজ্জ্বল ঘটনার দিন চিকিৎসার জন্য পরিবারসহ ভারতে অবস্থান করেছিলেন। ভারতে যাওয়া আসা এবং চিকিৎসার সকল প্রমাণপত্র রয়েছে। এ দিকে শহরের থানাপাড়া এলাকার ইবাদত খানের ছেলে ক্রিকেট কোচ ইসলাম খানকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি সরাসরি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সক্রিয় ভ‚মিকা পালন করেছেন। চরপাড়া এলাকার সাবেক ফুটবলার এনামুল হক রৌফকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি ওই সময়ে খুব অসুস্থ্য চিলেন। তার ওপেট হার্ট সার্জারি করা। এসবেরও যথেষ্ঠ প্রমাণ রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মো. শামিম আল মামুন ও ক্রিকেট কোচ ইসলাম খান বলেন, একটি প্রভাবশালী মহল আমাদের হয়রানি করার জন্য মামলায় নাম দিয়েছেন। এছাড়া মামলার বাদী খোকন আমাদের কাউকে চিনেন না। তারা ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। পাশাপাশি মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি করেন।
এর আগে মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম আন্দোলনকারী ফাতেমা রহমান বিথী, প্রেমা সরকার প্রমুখ। মামলা তুলে না নিলে কঠোর আন্দোলনের হুমিশয়ারি দেন বক্তারা।