বগুড়ার আদমদীঘিতে উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি তার ছেলেসহ তিনজনকে মারধর ও হাত পা মুখ বেঁধে খাদে ফেলে রেখে মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার ৬ মে রাতে আদমদীঘি উপজেলা নসরতপুর-বিহিগ্রাম সড়কের ধনতলা ব্রিজের নিকট এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
ছিনতাইকারির কবলে পড়া ব্যক্তিরা হলো, আদমদীঘি উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি কুন্দগ্রাম ইউপির মটপুকুর গ্রামের মাও. গোলাম রব্বানী, তার ছেলে মনিরুজ্জামান মারুফ (১৩) ও একই গ্রামের প্রবাসি রেজাউল ইসলামের ছেলে বকুল হোসেন (১৯)।
বকুল হোসেন মারাত্মক অসুস্থ্য। আদমদীঘি উপজেলা জামায়াতে ইসলামের সেক্রেটারি মাওঃ গোলাম রব্বানী জানান, গত মঙ্গলবার রাতে তিনি ও তার ছেলে মনিরুজামান মারুফ দুপচাঁচিয়া সরদারপাড়া তার বড় ছেলের স্বশুড়ের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়ি মটপুকুর ফিরছিলেন।
রাত সাড়ে ১০ টার দিকে আদমদীঘির নসরতপুর-বিহিগ্রাম সড়কের ধনতলা গ্রামে পুর্বে ব্রিজের নিকট সড়কে দড়ির ব্যারিকেড দিয়ে তাদের পথরোধ করে ৭/৮ জনের একদল ছিনতাইকারি চাকুর ভয় দেখিয়ে তাদের মারধর ও হাত পা মুখ বেঁধে সড়কের পাশে খাদে ফেলে রেখে তার বাজাজ সিটি ১০০ সিসির একটি মোটরসাইকেল, একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ও ২৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এর আগে রাত সাড়ে ৮টায় একই স্থানে একই গ্রামে প্রবাসির ছেলের বকুল হোসেনকে একই কায়দায় ছিনতাইকারিরা দড়ির ব্যারিকেড দিয়ে পথরোধ করে মারধর, হাত, পা ও মুখ দড়ি দিয়ে বেঁধে খাদে ফেলে রেখে তার নিকট থেকে এইটি সুজুকি জিকছার মোটরসাইকেল, আইফোন, বিদেশী ডলার ও ৫৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে তার মা বুলবুলি বেগম জানান। রাত ১২টা দিকে ছিনতাইকারির কবলে পড়া ব্যক্তিরা কৌশলে মুখ খুলে চিৎকার দিলে গ্রামবাসি তাদের উদ্ধার করেন।
সংবাদ পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান এ ঘটনায় মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।