পিরোজপুরের নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) উপজেলার সারেংকাঠী ইউনিয়নের ৮ ওয়ার্ড বিষ্ণুকাঠি গ্রামে রেকর্ডীয় খাল দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে একাধিক দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, সরকারি খালের জায়গা দখল করে প্রভাবশালীরা পাকা স্থাপনা নির্মাণ করেছেন, যার ফলে পানি চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে এবং পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
সরজমিনে গেলে দেখা যায়, সারেংকাঠী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড বিষ্ণুকাঠি গ্রামে রেকর্ডীয় খাল দখল করে দোকান নির্মাণ করেছেন একাধিক ব্যক্তি।
দখলকারীদের মধ্যে রয়েছেন- মো. নুরুল আমিন, পিতা মো. মোসারফ হোসেন তিনি খালের উপর ২টি ভিটি তৈরি করেছেন।
মো. জহিরুল ইসলাম একই এলাকার বাসিন্দা, খালের জায়গা দখল করে ব্যবসা করছেন।
মো. আউয়াল, পিতা মৃত হোসেন আলী যিনি খালের সীমানা ভেঙে স্থায়ী অবকাঠামো গড়েছেন।
মো. ছত্তার খান, পিতা মৃত মহর আলি একইভাবে সরকারি জায়গা ব্যবহার করছেন। তাঁরা বিষ্ণুকাঠি গ্রামের বাসিন্দা।
মো. অসিম হাওলাদার, পিতা মোঃ কুদ্দুস হাওলাদার দক্ষিণ সোহাগদল এলাকার বাসিন্দা।
এ বিষয়ে স্থানীয় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চৌকিদার কামাল খান জানান, ‘দোকানগুলো রেকর্ডীয় খালের উপর নির্মাণ করা হয়েছে। এগুলো সম্পূর্ণ সরকারি সম্পত্তি, যার দখল অবৈধ।’
দখলদার ব্যাক্তি জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঘর রেকর্ডীয় খালের উপর নির্মিত। এখান থেকে ভাড়া বাবদ কিছু টাকা পাশের মসজিদে দেই।’
স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, খাল দখলের ফলে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এছাড়া খালগুলো যদি সংরক্ষিত না হয়, তবে ভবিষ্যতে বড় ধরনের পরিবেশগত বিপর্যয় ঘটতে পারে।
এ ব্যাপারে নেছারাবাদ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রায়হান মাহমুদ বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রমাণ পাওয়া গেলে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং সরকারি সম্পত্তি উদ্ধারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এদিকে এলাকাবাসী দাবি জানিয়েছেন, দখলদারদের দ্রুত উচ্ছেদ করে খালের স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করা হোক এবং যেন আর কেউ খাল দখল করতে না পারে, সে জন্য কঠোর নজরদারি চালানো হোক।
এই অবস্থা চলতে থাকলে স্থানীয় পরিবেশ, কৃষি এবং জনজীবনে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সচেতন নাগরিকরা। প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপই পারে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে।