বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২
একই প্রতিষ্ঠানকে দুটি হাসপাতালের চিকিৎসা সরঞ্জামের ক্রয়াদেশ

মাদারীপুর সিভিল সার্জন অফিসে দুদকের অভিযান

স্টাফ  রিপোর্টার, মাদারীপুর
  ১৩ মে ২০২৫, ১৮:৩৮
মাদারীপুর সিভিল সার্জন অফিসে দুদকের অভিযান
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়মের অভিযোগে দুদকের টিম। ছবি: যায়যায়দিন

মাদারীপুর সদর হাসপাতাল ও রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয়ের দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগে দুদকের একটি টিম সিভিল সার্জন অফিসে অভিযান পরিচালনা করেছে।

মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

1

জানা গেছে, চলতি অর্থ বছরে মাদারীপুর সদর হাসপাতাল ও রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঔষধ সামগ্রী, সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি, লিলেন সামগ্রী, গজ-ব্যান্ডেজ-তুলা সামগ্রী, কেমিক্যাল রিজেন্ট সামগ্রী ও আসবাবপত্র সামগ্রীর ৬ টি প্যাকেজে পৃথকভাবে দরপত্র আহবান করা হয়।

দরপত্রে একাধিক প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহন করলেও এমপেক্স ট্রেড ইন্টার ন্যাশনাল নামে একটি প্রতিষ্ঠানকেই দুই হাসপাতালের কাজ দেয়া হয়।

মূল্যায়ন কমিটিতে দুটি প্রতিষ্ঠানকে রেসপন্স করার নিয়ম থাকলেও মাত্র একজনকে রেসপন্স করে অনিয়মভাবে কাজ দেয়া হয়।

দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয়ের দরপত্র প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানকালে টেন্ডার সংশ্লিষ্ট যাবতীয় রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, মাদারীপুর সদর হাসপাতাল ও রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয়ের দরপত্রে ৬ টি লটে ট্রেন্ডার আহবান করা হয়।

রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয়ে দরদাতাদের মধ্য থেকে মাত্র একজনকে রেসপন্সিভ করে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে। উক্ত সরকারি ক্রয়ের দরপত্র প্রক্রিয়ায় অসংগতি রয়েছে মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রতিয়মাণ হয়।

মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয়ে ই-জিপিতে ৬ টি লটে টেন্ডার আহবান করা হয় এবং রেকর্ডপত্র মোতাবেক সকল লটে একজন ঠিকাদার কাজ পেয়েছেন।

২০২৪-২৫ অর্থ বছরে সদর হাসপাতাল ও রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয়ে কেবল একজন ঠিকাদার কাজ পাওয়ায় টেন্ডার সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে দরপত্র প্রক্রিয়ায় ত্রুটি আছে কিনা তা বিশ্লেষণ করা হবে।

সকল অভিযানকালে উদ্ঘাটিত ও সংগৃহীত তথ্য ও রেকর্ডপত্র পর্যালোচনাপূর্বক এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে