এদেশের প্রথম রেলওয়ের সূচনা হয় ১৮৬২সালে১৫ নভেম্বর দর্শনা জগতি রেল লাইন নির্মাণের মাধ্যমে।
যতটুকু জানা যায় ১৯৩০-৩১সালে সম্পদের প্রাচুর্যে মুগ্ধ হয়ে ভাটি বাংলার প্রাণকেন্দ্র মোহনগঞ্জ এই এলাকায় ব্রিটিশ সরকার রেললাইন স্থাপন করে ও রেলওয়ে সেবা চালু করে। বাংলাদেশ রেলওয়ে দুটি অঞ্চল ভাগে ভাগ করা হয়। পূর্ব অঞ্চল চট্টগ্রাম ও
ময়মনসিংহ জংশন স্টেশন হইতে মোহনগঞ্জ পর্যন্ত ৬৮.৫কিলোমিটারের পথ। মোহনগঞ্জের এই রেলওয়ে পথটি ভাটি বাংলার প্রাণকেন্দ্র। মোহনগঞ্জের রেলওয়ের এই পথটি ভাটি বাংলার বিশেষ ঐতিহ্য বহন করে। অত্র এলাকার
মানুষের অনেক দিনের দাবি মোহনগঞ্জ হইতে চট্টগ্রাম পর্যন্ত একটি আন্তঃনগর ট্রেন যোগাযোগের ব্যবস্থা করা।মারাত্মক আরামদায়ক. পরিবেশবান্ধব. কম খরচ ও সাশ্রয়ী হিসেবে পথ চলার ব্যবস্থা হচ্ছে রেলওয়ে পরিবহন। খুবই জনপ্রিয় এবং কার্যকর পরিবহন রেলওয়ে পরিবহন। আমাদের এই জনবহুল দেশে অপেক্ষা কৃত কম খরচে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের সুযোগ থাকায় রেলপথের গুরুত্ব অনেক বেশি।
তাই চট্টগ্রাম হইতে মোহনগঞ্জ পর্যন্ত একটি আন্তঃনগর ট্রেন যোগাযোগের ব্যবস্থা হলে আমাদের এই ভাটি অঞ্চলের জনসাধারণের যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হবে ও পরিবহন ব্যয় কম হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। কর্মসংস্থানের আরো অনেক সুযোগ সৃষ্টি হবে। এবং এলাকার জনসাধারণের আত্মসামাজিক অবস্থার পরিবর্তনে মারাত্মক ভূমিকা রাখবে।
এই এলাকায় যদি চট্টগ্রাম হইতে মোহনগঞ্জ পর্যন্ত একটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা হয় তাহলে এই অঞ্চলের মানুষের অনেক দিনের একটি স্বপ্ন পূরণ হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষর কাছে হাওর অঞ্চলের মানুষের প্রত্যাশা চট্টগ্রাম হইতে মোহনগঞ্জ পর্যন্ত একটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করা।