ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে হঠাৎ ঝড়ে বেশ কয়েকটি এলাকায় ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে কাঁচা ঘর বাড়ি। উড়ে গেছে মুরগির খামার। উপড়ে পড়েছে বেশ কয়েকটি বৈদ্যুতিক খুঁটি। রাত থেকে বিদ্যুৎ বিহীন হয়ে পড়েছে কয়েকটি গ্রাম। ক্ষতি হয়েছে বিভিন্ন ফসলের মাঠ। রবিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার উপর দিয়ে প্রবল বেগে ঝড় বয়ে যায়। এতে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভোমরাদহ ও কোষারাণীগঞ্জ ইউনিয়নের সেনুয়া বাঁশবাড়ি, কাচন ও দুবড়া গ্রামে। ওই তিনটি গ্রামের অর্ধশতাধিক কাঁচা বাড়ি ঘর ভেঙ্গে যায়। এ সময় দুবড়া এলাকার চোখা মিয়া নামে এক উদ্যোক্তার একটি মুরগির খামার লন্ডভন্ড হয়ে যায়। মারা যায় ওই খামারের প্রায় ১৪শ মুরগি।
এদিকে ভেঙ্গে ও উপড়ে পড়ে অসংখ্য বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। ঝড়ে পড়েছে গাছের কাঁচা আম ও লিচু। ন্যুয়ে পড়ে বোরো ধান ও ভূট্টার ক্ষেত। ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৬টি বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়েছে। এতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে কয়েকটি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম। খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন বাড়ি ঘর ভেঙ্গে পড়া পরিবারের লোকজন। নিয়ামতপুর গ্রামের হরি গোপাল রায় বলেন, “কাইল (গতকাল) সন্ধ্যা থেকে কারন্টে নাই। অন্ধকারে ছি (আছি)। কখন যেন অসিবে (আসবে) ঠিক নাই। ছুয়াপুয়া লেহেনে বিপদত ছি।”
পীরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তারিফুল ইসলাম জানান, ঝড়ে ওই দুইটি ইউনিয়নের ৩০ থেকে ৩৫টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লায়লা আরজুমান বেগম জানান, ঝড়ে বেশ কিছু ধান ভূট্টা আম ও লিচু সহ অন্যান্য ফসলে বেশ ক্ষয় ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপনে কাজ চলছে।
ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পীরগঞ্জ জোনাল অফিসের উপ মহা ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন মুসলেমী জানান, ঝড়ে বেশ কিছু বৈদ্যুতিক খুুঁটি ভেঙ্গে যায়। মেরামত করে রাতেই শহর এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল করা গেলেও কিছু কিছু এলাকায় এখনো চালু করা সম্ভব হয়নি। দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ দিতে কাজ চলছে।