সম্প্রতি ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের কিছু পণ্যের আমদানিতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এদিকে, বাংলাদেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দরে হিসেবে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধায় সেই নিষেধাজ্ঞার তেমন প্রভাব পড়েনি।
মঙ্গলবার (২০ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাবান্ধা ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, এই বন্দর দিয়ে মূলত ঝুট কাপড়, আলু ও কিছু প্লাস্টিক পণ্য ভারতে রপ্তানি করা হয়।
প্লাস্টিক পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় সম্প্রতি এসব পণ্যবাহী কয়েকটি ট্রাক ফেরত পাঠানো হয়েছে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের রপ্তানিকারক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বাংলাবান্ধা দিয়ে খুব বেশি পণ্য ভারতে রপ্তানি হয় না। তাই প্রভাবও কম। তবে এই বন্দর দিয়ে বেশি আমদানি হয় পাথর। কিছু দিন ধরে আলু রপ্তানি হচ্ছে। সেটাও স্বাভাবিক রয়েছে।
সিএন্ডএফ এজেন্ট নুর ইসলাম বলেন, আমাদের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানির চেয়ে আমদানিই বেশি হচ্ছে। ভারত যে নিষেধাজ্ঞা করেছে সেক্ষেত্রে শুধু প্লাস্টিক পণ্যটি রপ্তানি হচ্ছে না।
বাংলাবান্ধা ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ জানান, এখান থেকে কাঁচামাল জাতীয় পণ্য রপ্তানি স্বাভাবিক রয়েছে। পলিস্টার, কটন রেকস বা ঝুট রপ্তানি গতকালও হয়েছে। শুধুমাত্র ফিনিশড পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, যেগুলো বাংলাবান্ধা দিয়ে রপ্তানি হয় না।
এদিকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে নেপাল ও ভূটানের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমও স্বাভাবিকভাবে চলছে। শ্রমিক ও পরিবহনকর্মীরা জানায়, বন্দরে পণ্য ওঠানামা ও চলাচলে কোনো বাধা নেই। সার্বিকভাবে বন্দরের পরিবেশ স্বাভাবিক ও কার্যক্রম সচল রয়েছে।