কক্সবাজারের চকরিয়ায় ‘সামুদ্রিক ও উপকূলীয় এলাকায় মৎস্য চাষের গুরুত্ব ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক তিনদিনের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ১৮ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত তিনদিন ব্যাপী এই প্রশিক্ষণ চলে।
চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের ১০ জন চিংড়ি, ১০ জন কাকড়া ও ৫ জন শ্যাওলা চাষী প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণ করেন।
প্রতিদিন ১০ টা থেকে শুরু হওয়া এ প্রশিক্ষণে চিংড়ি, বেনামী চিংড়ি চাষ ও সাদা মাছ, কোরাল মাছ চাষ পদ্বতি, রোগ বালাই, পোনা সংগ্রহ, ঘের প্রস্তুতকরণ, মাছের খাদ্য খাওয়ানো সম্পর্কে ধারণা দেন, চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মো. আনোয়ারুল আমিন। এছাড়া মেরিন ফিসারিজ অফিসার মোসাদ্দেকুল ইসলাম ও ক্ষেত্র সহকারী মো, সায়েফ উল্লাহ মৎস্য চাষের বিভিন্ন বিষয়ে চাষীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।
চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মো. আনোয়ারুল আমিন বলেন, সনাতনী পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ বাদ দিয়ে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে চিংড়ি চাষ করলে চাষীরা অনেক বেশী লাভবান হবে। চাষীদের এসব বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
তৃতীয় দিনে প্রশিক্ষন শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান।
অপরদিকে কয়েকজন চিংড়িচাষী অভিযোগ করে বলেন, চকরিয়া উপকূলের চিংড়িঘের গুলোতে নিয়মিত ডাকাতি হয়। এছাড়া নিয়মিত চাঁদা না দিলে ডাকাতরা মাছ লুট করে নিয়ে যায়। নিরাপত্তা না থাকায় অনেকে বেশি টাকা বিনিয়োগ করে মাছ চাষ করতে চায় না। এসব বিষয়ে ইউএনও মো. আতিকুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে উপজেলার আইনশৃঙ্খলা বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। চিংড়িঘের গুলোতে যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ সংযোগও নিরাপত্তা বিধানে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।