বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

রাজৈরে সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলায় সংবাদ সম্মেলন

রাজৈর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
  ২২ মে ২০২৫, ১৩:৩৬
রাজৈরে সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলায় সংবাদ সম্মেলন
সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলায় সংবাদ সম্মেলন। ছবি: যায়যায়দিন

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার সাংবাদিক ফেরদাউস হোসেনের উপর সন্ত্রাসী হামলার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। বুধবার ২১ মে রাজৈর উপজেলার কুঠিবাড়ী এলাকা উম্মাহানি প্রাইভেট হাসপাতালের সামনে তার নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন ওই সাংবাদিকের পরিবারের সদস্যরা।

এসময় হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তারা। আহত ফেরদাউস কুঠিবাড়ী এলাকার বাসিন্দা ও রাজৈর পৌরসভা জামায়াতে ইসলামীর আমীর শেখ মোশাররফ হোসেনের ছেলে।

1

তিনি রাজৈর উপজেলা মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সেক্রেটারি এবং দৈনিক ডেসটিনি পত্রিকার মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি। সাংবাদিক ফেরদাউস বর্তমানে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আহত সাংবাদিক ফেরদাউস হোসেনের বাবা শেখ মোশাররফ হোসেন জানান, মঙ্গলবার (২০ মে সকালে আমাদের বাড়ির পাশে উম্মাহানি হাসপাতালের সামনে দাড়িয়েছিল আমার ছেলে ফেরদাউস। এসময় একটি ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক থেকে নেমেই তাকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে।

এসময় হামলাকারীরা বলতে থাকে আর সাংবাদিকতা করবি, তাহলে মেরে ফেলবো। একপর্যায়ে তার ডাক-চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে ওই ইজিবাইকে করেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

কিন্তু কেন এই হামলা করা হলো তা আমরা জানি না। সিভিল এবং পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনুরোধ দোষী ব্যক্তিদের যথাযথভাবে সনাক্ত করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক। যেন এই ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে৷

এসময় ফেরদাউসের চাচা মোহাইমিনুল মিয়া জানান, সম্প্রতি রাজৈর উপজেলার দারাদিয়া কাঠালিয়া ব্রিজের কাছে মোবাইল, নগদ টাকা ও ইজিবাইক ছিনতাই-ডাকাতির মতো একটা ঘটনা ঘটে।

সেই ঘটনায় ডাকাতির মামলা না নিয়ে মোবাইল হারানোর একটা জিডি নেন রাজৈর থানার পুলিশ। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীদের ভিডিও বক্তব্য নিয়ে ফেরদাউস তার নিজস্ব ফেসবুক পেইজে পোস্ট করে।

পরে দারাদিয়া গ্রামে কয়েকজনকে ডাকাত সন্দেহে আটকালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ধারণা করা হচ্ছে, ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এই হামলার ঘটনা ঘটতে পারে।

এ ব্যাপারে রাজৈর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদ খান বলেন, সাংবাদিক ফেরদাউসকে আমি হাসপাতালে গিয়ে দেখে এসেছি। এ ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।

তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে তিনি কাউকেই চিনতে পারেনি। এদিকে একটা ভিডিও দেখলাম ফেরদাউস নামে ওই সাংবাদিক একটা কাজের কথা বলে একজনের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়েছিলেন।

এ টাকা নিয়ে ওই ব্যক্তিদের সাথে ফেরদাউসের দ্বন্দ্ব ছিল বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয়, একইদিন তারই পক্ষের তারভীর নামে আরেক সাংবাদিককে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার দায়ে গণধোলাই দিয়েছে জনগণ। এছাড়া সম্প্রতি আরেক সাংবাদিক মাসুদ খান কদমবাড়ি থেকে জনগণের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যায়।

এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা যারা মূল ধারার সাংবাদিক আছেন তারা ভুয়া সাংবাদিকদের তথ্য দিন আমরা ব্যবস্থা নেবো।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে