পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের বড়বাড়ি সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে বিএসএফ কর্তৃক পুশইনের ঘটনায় আটক নারী,পুরুষ ও শিশুসহ ২১ জনকে তিন দিনের মাথায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
গতকাল শনিবার বিকেলে হাড়িভাসা ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের ডোলোপুকুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের সদস্যদের জিম্মায় তাদের হাতে তুলে দেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন। এ সময় পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহিল জামান ও হাড়িভাসা ইউপি চেয়ারম্যান সাইয়েদ নূর-ই আলম উপস্থিতি ছিলেন।
এ সময় আলেয়া বেগম নামের এক নারী বলেন, আমরা ভারতে বসবাস করে বিভিন্ন কাজের সাথে যুক্ত ছিলাম। এর মাঝে গত ২১ মে ভারতীয় পুলিশ আমাদের গুজরাট এলাকা থেকে আটক করে বিমানে কলকাতা নিয়ে আসে। পরে কলকাতা থেকে বাসে করে এনে বিএসএফ সীমান্ত এলাকা দিয়ে আমাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। এর পর বিজিবি আটক করে আমাদের। গত তিনদিন ধরে এই আশ্রয়ণ প্রকল্পে ছিলাম সবাই। এর মাঝে আজ আমাদের পরিবারের সদস্যরা এসে আমাদের খুলনায় নিজ বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে। খুব ভালো লাগছে, আজ নিজ বাড়িতে ফিরে যাচ্ছি।
পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন বলেন, ডিসি স্যারের নির্দেশে আটক ২১ জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়। এর মাঝে তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হয়। তারা আসলে আজ তাদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ভোরে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের বড়বাড়ি সীমান্ত এলাকা দিয়ে ওই ২১ জনকে বাংলাদেশে পুশ ইন করা হয়। এর পর এলাকায় তাদের দেখে স্থানীয়রা বিজিবিকে খবর দিলে বিজিবি তাদের আটক করে। পরে পঞ্চগড় সতর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করলে রাতে সবাইকে ডোলোপুকুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে রাখা হয়।
পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়া হলে তিন দিনের মাথায় গতকাল শনিবার তাদের আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।