নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে মিনি স্টেডিয়ামের ড্রেন যেন ফেন্সিডিলের খালি বোতলের খনি । প্রসাশনের নজরদারীর অভাবে মাদক সেবন ও বিক্রেতারা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এতে করে যুবসমাজের চরম নৈতিকতার অবক্ষয় হচ্ছে। এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।
জানা গেছে,কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিপাতে স্টেডিয়ামের মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।গতকাল শুক্রবার ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলা উপলক্ষে বিকালে মাঠের জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনের ময়লা -আবর্জনা পরিষ্কার করতে নামেন স্থানীয় খেলোয়াড়রা। এ সময় ড্রেনের ময়লা-আবর্জনার সাথে শতশত ফেন্সিডিলের খালি বোতল উত্তোলন করা হয়। বিষয়টি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (নেট দুনিয়া)ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেনদের মধ্যে আলোচনা- সমালোচনার ঝড় উঠে।
স্থানীয় খেলোয়াড় রাশেদসহ আরো অনেকে বলেন,বিকেলে দিনাজপুর ও নীলফামারীর মধ্যেকার ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলা অনুষ্ঠিত হবে । এজন্য স্টেডিয়াম মাঠের জলাবদ্ধতা নিরসন করতে ওই মাঠের উত্তর-পশ্চিম কোনের ড্রেনের স্লাব উত্তোলন করলে হালকা ময়লা-আবর্জনা মাঝে পানির সঙ্গে ফেন্সিডিলের খালি বোতল ভেসে যাচ্ছে। এর মধ্যে ড্রেনের পানি থেকে কিছু বোতল তুললে উৎসুক জনতার ঢল নামে।
এমন প্রত্যক্ষদর্শী জনতার অভিযোগ উঠতি বয়সী থাই-গেম ও ভিসা প্রতারক চক্রের কালো টাকার ছড়াছড়িতে এলাকাজুড়ে মাদকের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে।তারা আরো বলেন,সন্ধ্যা হলে স্টেডিয়াম মাঠে উঠতি বয়সী যুবকের ঢল নামে। তারা আড্ডার ছলে মাঠকে নিরাপদ মাদকাসক্তের জোনে পরিণত করেছেন। ফেন্সিডিল খাওয়ার পর খালি বোতল ড্রেনের ভিতর ফেলে দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে একাধিকবার জানালেও কোন প্রতিকার মেলেনি।আমরা মাদকমুক্ত উপজেলা চাই, মাদক মুক্ত স্টেডিয়াম চাই।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। আমরা চাই স্থানীয় বাসিন্দারাও আমাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুক। যাতে করে আমরা মাদককে নির্মূল করতে সফল হই।