অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে ‘স্বাধীনভাবে’ কথা বলতে পারছেন বলে মন্তব্য করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গুণী মানুষ হলেও নাতি-নাতনিদের উপদেষ্টা করায় কিছু ভুল হচ্ছে। এখনকার সরকারে আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি, যা শেখ হাসিনার আমলে সম্ভব হয়নি। কিন্তু এখনও ন্যায়বিচারের দাবিতে কথা বললেই বাধা আসে।
আজ শনিবার (২৪ মে) বিকালে বগুড়ার সূত্রাপুর সেন্ট্রাল হাইস্কুল মাঠে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগীয় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল আয়োজিত ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’ এ তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘বেকার তরুণদের জন্য সরকার কিছু করছে না। মানবিক করিডর, চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া ইত্যাদি বিষয়ে প্রশ্ন করলেই রোষানলে পড়তে হয়। অথচ এই অধিকার নিয়েই আমরা লড়াই করছি।’
শনিবার ভারী বৃষ্টিতে শুরুতে প্রস্তুতি বিঘ্নিত হলেও দুপুরের পর কর্মীদের অংশগ্রহণে মাঠ ভরে যায়। সমাবেশ চলাকালেও নেতাকর্মীরা বৃষ্টির মধ্যেই মিছিল নিয়ে মঞ্চের সামনে থাকেন। গোটা বগুড়া শহর মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়।
একই সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘সব দল এখনও সংগঠিত হয়নি, তাদের সময় দরকার। কিন্তু সেই অপেক্ষায় নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া উচিত নয়। জনগণের ক্ষমতা তাদের কাছেই ফিরিয়ে দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার আলোচনা সাপেক্ষে শেষ করে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচন কমিশন জুনের মধ্যে প্রস্তুতির কথা বলেছে, তাহলে ডিসেম্বরের নির্বাচন সম্ভব।’
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকার অন্তবর্তীকালীন, তাদের নির্দিষ্ট দায়িত্ব রয়েছে। জনগণ স্থায়ী সরকার চায়। আওয়ামী লীগ সব সেক্টর ধ্বংস করেছে। তারেক রহমান ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছেন, যা থেকেই পুনর্গঠনের দিশা পাওয়া যাবে।’