চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন থানার হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজির দশ মামলার আসামি আলী আকবর প্রকাশ ঢাকাইয়া আকবর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে।
রোববার (২৫ মে) সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) তার মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চমেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক।
এর আগে, শুক্রবার (২৩ মে) রাত সাড়ে ৮টায় নগরীর পতেঙ্গা থানাধীন পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় কে বা কারা তাকে গুলি করে পালিয়ে গেছে। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন দর্শনার্থী জান্নাতুল বাকী (৩০) এবং শিশু মহিম ইসলাম রাতুল (৮)।
এর মধ্যে জান্নাতুল বাকী ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডে কর্মরত এবং রাতুল নগরের দক্ষিণ পতেঙ্গার ফুলছড়িপাড়ার শওকত হোসেনের ছেলে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
চমেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক বলেন, আলী আকবর হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিল। রোববার (আজ) সকাল আটটায় কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালে আসা আলী আকবরের স্বজনরা জানায়, কারাগারে বন্দী সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ হোসেনের অনুসারীরা গুলি করেছে। পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় ওইদিন রাত আটটার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিল আকবর। হঠাৎ ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল এসে এলোপাতাড়ি গুলি করে।
ঢাকাইয়া আকবর বিদেশে পালিয়ে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসী বড় সাজ্জাদের অন্যতম সহযোগী হিসেবে পরিচিত। তার সঙ্গে কারাগারে থাকা অপর শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের গ্রুপের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব রয়েছে। ছোট সাজ্জাদের লোকজনই এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা। গত ১৫ মার্চ ঢাকার একটি শপিংমল থেকে গ্রেফতার হন সাজ্জাদ।
আকবর চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী এলাকার মঞ্জু মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজির অভিযোগে ১০টি মামলা রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, শুক্রবার রাতে ঢাকাইয়া আকবর একজন তরুণী এবং অন্য চারজন ছেলেসহ মোট ৬-৭ জন পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের ২৮ নম্বর দোকানে বসেছিলেন।
সে সময় মোটরসাইকেলে কয়েকজন যুবক সেখানে উপস্থিত হয়। তাদের মধ্যে একজন আকবরকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে থাকে। তখন আকবর দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু তবু গুলিবিদ্ধ হন। সে সময় পতেঙ্গা সৈকতে বেড়াতে আসা আরও দুই জন আহত হন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় এখনও থানায় কেউ মামলা করতে আসেনি। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।