‘তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার কমিয়ে আনার লক্ষ্যকে সফল করতে হলে সর্বপ্রথম তামাক চাষিদের নিরুৎসাহিত করতে হবে। চাষিরা যেন তামাকের পরিবর্তে আলু এবং ভুট্টা চাষে মনোযোগী হয় সে ব্যাপারে স্থানীয় কৃষি বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।’
মঙ্গলবার (২৭ মে) ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন বাস্তবায়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের হলরুমে আয়োজিত প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা আরও বলেন, ‘কুড়িগ্রামে তামাক চাষির সংখ্যা চার শতাধিক। সকল তামাক চাষিকে সঙ্গে আলোচনা করব এবং তাদের তামাক চাষের পরিবর্তে আলু এবং ভুট্টা চাষে উদ্বুদ্ধ করব। তামাক চাষিরা যদি আমাদের আহ্বানে সাড়া দেন, তাহলে তাদের কৃষি প্রণোদনাসহ যাবতীয় সরকারি সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে।’
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত এবং জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে ডিজিটাল স্ক্রিনে প্রেজেন্টেশন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) উত্তম কুমার রায়। অনুষ্ঠান উপস্থাপনাকিরেন এনডিসি সায়েখুল হাসান খান।
এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব আরাফাত রহমান, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদা পারভীন, কুড়িগ্রাম জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালকরফিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির ১ং যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবু, যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক হাসিবুর রহমান হাসিব ও কুড়িগ্রাম জেলা সম্মিলিত শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য জোটের সদস্য সচিব ও কুড়িগ্রাম জেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান প্রমুখ।