বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ ও আমাবশ্যার জোয়ার ও পূবালী বাতাসের প্রভাবে পায়রা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমতলী ও তালতলীর বণ্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরের নদী তীরবর্তী ২৪ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। দুর্ভোগে পরেছে দুই উপজেলার অর্ধলক্ষাধীক মানুষ।
বৃহস্পতিবারের পানিতে আমতলীর ফেরির গ্যাংওয়ে তলিয়ে যাওয়ায় দিনভর যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহতে হয়েছে।
বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ না থাকায় গাজীপুর বন্দর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে বলে জানান ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো.ফারুক হোসেন মৃধা। তিনি বলেন, গাজীপুর বাজারে প্রায় ৩শ’ ব্যবসায়ী বণ্যা নিয়ন্তন বাঁধের বাইওে রয়েছে।
বৃষ্টি এবং জোয়ারের পানিতে বৃহস্পতিবারের সাপ্তাহিক হাট বন্ধ ছিল তাই ছোট বড় সকল ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আমতলী উপজেলার গেজ পাঠক (পানি মাপক) মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, বৃহস্পতিবার পায়রা নদীর পানি বিপদ সীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে।
বুধবার রাত , বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দিনভর মুষলধারে বৃষ্টিপাতের ফলে আমতলী পৌরসভার ০৫ নং ওয়ার্ডের সবুজবাগ, খোন্তাকাটা, বাসুগী, চার ও ছয় নম্বর ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতার কারনে অধিকাংশ বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে বিপদে পরেছে কয়েক হাজার মানুষ।
আমতলী পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. মেয়াজ্জেম হোসেন ফরহাদ বলেন, বৃষ্টির পানি জমে সড়ক তলিয়ে গেছে। অনেকের বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে পরেছে। এমনকি আমিও এখন পানির কারনে বাসা থেকে বেড় হতে পারছি না। একই কথা বলেন, পৌরসভার খোন্তাকাটা এলাকার বাসিন্দা ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম স্বপন। তিনি বলেন, বৃষ্টির পানিতে পুরো এলাকা তলিয়ে গেছে। আমরা এলাকাবাসী এখন ঘর থেকে বের হতে পারছি না।
পানি উন্নয়ন বোর্ড আমতলীর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আজিজুর রহমান সুজন বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরে বসবাস করা মানুষজনের কাঁচা ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি।
বরগুনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন, যে সকল জায়গায় বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ দুর্বল হয়ে গেছে সেগুলো সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।