বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় সনাতন ধর্মালম্বীরা সনাতনী পঞ্জিকা মতে রোববার ( ১ জুন) আড়ম্বরপূর্ণভাবে জামাই ষষ্ঠী উৎসব পালন করেছে। প্রতি বছর বাংলা সনের জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে এ ষষ্ঠী পূজা পালিত হয়ে থাকে। এবার পঞ্জিকা মতে ১৭ জ্যৈষ্ঠ এ পূজা অনুষ্ঠিত হলো। এ পর্ব পালন করার জন্য হিন্দু পল্লীর বাড়িতে বাড়িতে জামাই-মেয়ে ও আত্মীয়দের সমাগম ঘটে।
উপজেলার সরঞ্জাবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক পরিতোষ মন্ডল জানান, সাধারণত সধবা নারীরা এদিন বিভিন্ন জাতের ফল, ফুল, ছয়টি পান, ছয়টি সুপারি, বাঁশ পাতা, সাদা কাপড়ের টুকরো, নতুন ছয়গাছা সূতা, তুলা, হলুদ, তেল, দুর্বাঘাস একটি নতুন ডালায় নিয়ে পূজা মন্ডপে রেখে ষষ্ঠীপূজা করে থাকে। পূজা শেষে নারীরা জামাই ও সন্তানদের মঙ্গল কামনায় কপালে হলুদ ছুঁইয়ে এবং হলুদ রং সম্বলিত সুতা (ষাট সুতা) তাদের ডান হাতে বেঁধে দেন। এ দিন ভোর থেকে নারীরা উপোস থেকে পূজা শেষে ফল এবং দই-চিড়া খেয়ে থাকে। ষষ্ঠীপুজা উপলক্ষে জামাই মেয়েকে তাঁদের বাড়িতে এনে সাধ্যমত নতুন পরিধেয় বস্ত্র উপহার দেন। সাধারণত অশ্বত্থমূলে(পাকুর গাছতলায়) বা বনে এ পূজা হয় বলে একে জামাই ষষ্ঠী বা অরণ্য ষষ্ঠীও বলা হয়ে থাকে। এ পূজায় ফলের সমাহার বেশি থাকে।
দুপচাঁচিয়া পৌর এলাকার বোরাই পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা মাধুরী চক্রবর্তী বলেন, সনাতন ধর্মালম্বীর নারীরা তাঁদের সন্তানদের মঙ্গলার্থে এ ষষ্ঠীপূজা পালন করে থাকেন। পরিবারের মঙ্গল কামনায় তারা ব্রত পালন করে এ পূজা করেন।
উপজেলা সদরের পুরোহিত অমীয় মৈত্র বলেন, লৌকিক এ ষষ্ঠী পূজা সনাতন ধর্মালম্বীরা আড়ম্বরপূর্ণভাবে পালন করে। এ পূজায় শুধু পরিবার নয় দেশবাসীর জন্য মঙ্গল কামনা করে প্রার্থনা করা হয়।