ঈদুল আজহা উপলক্ষে র্যাব-৫ এর আওতাধীন ৫টি জেলায় সকল ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বৃদ্ধি করেছে বাহিনীটি। বেলা ১১টায় রাজশাহী অঞ্চলের সবচেয়ে বড় পশুর হাট সিটি হাটে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লে: কর্ণেল মো: মাসুদ পারভেজ।
তিনি বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে যাতে কোথাও কোন ধরণের চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ছিনতাই, পশুর হাটে টোল নিয়ে জোর জুলুম না করা হয় এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে বড় বড় হাটগুলোতে তারা কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছে। সেই সাথে কন্ট্রোল রুমের পাশেই স্থাপন করা হয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র যেখান থেকে হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা গরমে অসুস্থ্য বোধ করলে সহজেই চিকিৎসা নিতে পারবে। জটিল পরিস্থিতি তৈরী হলে র্যাবের অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা রয়েছে।
র্যাব-৫ এর অধিনায়ক মাসুদ পারভেজ আরও বলেন, কন্ট্রোল রুমে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুরক্ষা দিতে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জাল টাকা শনাক্তকরণের জন্য মেশিন রাখা হয়েছে। এছাড়াও হাটগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়নো হয়েছে। অপরাধ নিয়ন্ত্রনে গুরুত্বপূর্ন সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। আশা করছি হাটে আসা ক্রেতা বিক্রেতাসহ সকলেই নির্বিগ্নে ঈদের প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর রাজশাহী বিভাগের আটটি জেলায় মোট ৪৩ লাখ পশু প্রস্তুত করা হয়েছে কোরবানীর উপযোগি করে; যেখানে স্থানীয় চাহিদা ২৬ লাখ। ফলে প্রায় ১৭ লাখ পশু রাজধানী, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ দেশের অন্যান্য জেলায় পাঠানো হবে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক ডা. অনন্দ কুমার অধিকারী জানান, বিভাগের আট জেলায় এবার কোরবানির পশু বেচাকেনার জন্য ৩০২টি হাট নির্ধারণ করা হয়েছে। এই হাটগুলোর মধ্যে ১৬১টি স্থায়ী এবং ১৪১টি অস্থায়ী। পশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিভাগজুড়ে ২১৩টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিমগুলো হাটে উপস্থিত থেকে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা, গর্ভবতী গাভী শনাক্তকরণ এবং রোগ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।