মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

পাহাড়ি ঢলে আখাউড়ায় সীমান্তবর্তী নীচু এলাকা প্লাবিত

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  ০১ জুন ২০২৫, ১৫:৩৮
পাহাড়ি ঢলে আখাউড়ায় সীমান্তবর্তী নীচু এলাকা প্লাবিত
আখাউড়া সীমান্তবর্তী কয়েকটি গ্রামের নীচু এলাকা প্লাবিত

গত তিন দিনের টানা বর্ষণ এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তবর্তী কয়েকটি গ্রামের নীচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে রাস্তা ঘাট। বাড়ির উঠানে পানি আসায় স্বাভাবিক চলাফেরায় সমস্যায় পড়েছেন বাসিন্দারা।

জানা যায়, স্থলবন্দরের পাশদিয়ে বয়ে চলা কলন্দি খাল, কালিকাপুর হয়ে আব্দুল্লাপুর দিয়ে জাজি গাং, বাউতলা দিয়ে মরা গাং ও মোগড়া ইউনিয়ন দিয়ে বয়ে যাওয়া হাওড়া নদী দিয়ে অস্বাভাবিকভাবে পানি ঢোকার কারণে তলিয়ে যাচ্ছে ওইসব গ্রামের রাস্তা-ঘাট।

1

এতে করে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিকাপুর, বীরচন্দ্রপুর, আব্দুল্লাহপুর ও বঙ্গেরচর গ্রামের জমি ও রাস্তাঘাট তলিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ইটনা, আইড়ল গ্রামে পানি ঢুকেছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায় গতরাত থেকে এসব নদী, খাল দিয়ে পানি ঢুকছে। এতে করে এসব গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মনজুর রহমান বলেন, হাওড়া নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩০/৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। তবে বিপদ সীমা পার করেনি। বিপদ সীমা থেকে ২ মিটার নিচে আছে।

আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি এম রাশেদুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে আমি, উপজেলা প্রকৌশলসহ দূর্ঘত এলাকায় রয়েছি। সীমান্ত এলাকা কিছু নীচু এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। আমরা হাওড়া বাঁধ রক্ষায় কাজ করছি। হাওড়া বাঁধ না ভাঙলে বেশি সমস্যা হবে না। আমরা দূর্ঘতদের পাশে আছি।

উল্লেখ্য, গেল আগস্টে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙে উপজেলার প্রায় ৩৬ টি গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে ফসলি জমি ও মৎস্য সম্পদ ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে